সংরক্ষিত আসনে সাবেক এমপি নয়, নতুন মুখ চায় আ. লীগ

আওয়ামী লীগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে নতুন মুখদের সুযোগ দিতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

এ কারণে দলটি সাবেক সংসদ সদস্যদের এই সংরক্ষিত আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়ার কথা ভাবছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা। নতুন সিদ্ধান্তের কথা তারা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ইতোমধ্যে জানিয়েছেন।

সংরক্ষিত আসনে সাবেক সংসদ সদস্যদের নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'তবে কয়েকজনের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে।'

গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে অন্তত ৩০ নারী নেতা তাদের মনোনয়ন পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

অন্যদিকে, দলীয় প্রধান সংরক্ষিত নারী আসনে নতুনদের সুযোগ দিতে তার আগ্রহের কথা জানান।

বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদের এক সংরক্ষিত নারী এমপি বক্তব্য দিতে গেলে শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনি গতবার এমপি ছিলেন। আবার মনোনয়ন চাইছেন কেন? বসুন।'

পরদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সেখানে বিগত সংসদে ঝিনাইদহ থেকে সংরক্ষিত আসনের এমপি খালেদা খানম সাধারণ সম্পাদক কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তখন তার উদ্দেশে কাদের বলেন, 'আপনি কি গত সংসদে ছিলেন না? এবার অন্যদের সুযোগ দিন। কিন্তু, চিন্তার কারণ নেই। নেত্রী চাইলে আপনার কথাও বিবেচনা করতে পারেন।'

অপর নারী নেতা মনোনয়ন পাবেন কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন যে, কেন্দ্রীয় কোনো নেতা তাকে এমপি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কি না।

তিনি না বলতেই কাদের বলেন, 'তাহলে এই প্রশ্ন করলেন কেন?'

তখন ওই নারী নেত্রী বলেন, 'আগে জানতে পারলে টাকা খরচ করতে হতো না।'

গত শুক্রবারের বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সে সময় যুব মহিলা লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে জয় পায়। সংসদ আইন অনুসারে দলটি নারীদের জন্য সংরক্ষিত অন্তত ৩৭টি আসন পাবে।

একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে দলটির ৪৩ সদস্য ছিলেন।

নির্বাচন কমিশন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এরপর আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকের পর মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করবে দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

15m ago