আন্তর্জাতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও মস্কো-ঢাকা সহযোগিতা বিকশিত হচ্ছে: রুশ রাষ্ট্রদূত

রুশ রাষ্ট্রদূত
রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটস্কি। ফাইল ছবি

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটস্কি বলেছেন, সুদৃঢ় ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার ও পারস্পরিক সহমর্মিতা মস্কো-ঢাকার নতুন অর্জন ও অভিন্ন স্বপ্নের শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে। 

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে তিনি লিখেছেন, 'সদ্য-নির্বাচিত (বাংলাদেশ) সরকারের কাছে এটা আমার আন্তরিক প্রত্যাশা যে মস্কো ও ঢাকার মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আমাদের জনগণের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে।'

রাষ্ট্রদূত বলেন, '১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাঙালি জনগণকে বহুলাংশে সমর্থন করায়, দুই দেশের মধ্যে অর্থপূর্ণ মিথস্ক্রিয়ার ফলে আগেভাগেই ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।'

তিনি বলেন, 'এরপর থেকে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসে যোগ হয়েছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনার পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন আর গৌরবময় স্মৃতি।' 

রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বর্তমান অস্থিরতা সত্ত্বেও বিভিন্ন খাতে মস্কো ও ঢাকার মধ্যে ফলপ্রসূ সহযোগিতা বিকশিত হচ্ছে। ২০২৩ সালে রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক প্রত্যক্ষ করেছে বেশ কয়েকটি মাইলফলক। যেমন, সেপ্টেম্বরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের বাংলাদেশে প্রথম সফর, অক্টোবরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে রূপপুরে এনপিপিতে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ অনুষ্ঠান এবং নভেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে রুশ প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের শুভেচ্ছা সফর। 

রাষ্ট্রদূত মন্টিটস্কি বলেন, রাশিয়া বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্য, বিশেষ করে গম ও সারের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে রাশিয়ার শস্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন।

Comments

The Daily Star  | English

Death toll from jet crash revised down to 33

Health ministry revises fatality count twice in a single day

1h ago