চ্যাটজিপিটির সাফল্যে এআই নিয়ে অনলাইন কোর্সের দিকে ঝুঁকছেন শিক্ষার্থীরা

কোর্সেরার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ ম্যাজিওনকালডা (বাঁয়ে) ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্রু এনজি। ছবি: কোর্সেরা/এক্স
কোর্সেরার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ ম্যাজিওনকালডা (বাঁয়ে) ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্রু এনজি। ছবি: কোর্সেরা/এক্স

চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ সংক্রান্ত অনলাইন কোর্সের চাহিদাও বাড়ছে। 

সম্প্রতি রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের এড-টেক প্ল্যাটফর্ম কোর্সেরার বরাত দিয়ে জানানো হয়, ২০২৩ সালে গড়ে প্রতি মিনিটে একজন নতুন ব্যবহারকারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোর্সে নাম লিখিয়েছেন।

কোর্সেরার ৮০০টিরও বেশি এআই কোর্সে গত বছর ৭৪ লাখেরও বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন।

প্রতিষ্ঠানটির সিইও জেফ ম্যাজিওনকালডা বলেন, 'সম্প্রতি জেনারেটিভ এআই খাত খুব ভালো করছে, এবং এর সুযোগ নিতে মানুষ নিজেদের দক্ষতার উন্নয়ন করছেন'।

তিনি এআই শেখার কোর্সের চাহিদা বৃদ্ধির পেছনে চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআইগুলোকেই মূল কারণ হিসেবে দেখছেন।

ওপেনএআই'র চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি বিশ্বে এক নতুন ঝড় তুলেছে। এরই সূত্র ধরে অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানও নিজেদের চ্যাটবট নিয়ে এসেছে। যার ফলে শুরু হয়েছে এক নতুন প্রতিযোগিতা৷

বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করেছিলেন, জেনারেটিভ এআইভিত্তিক অ্যাপ এড-টেক সংস্থাগুলোকে প্রতিস্থাপন করে ফেলবে। তবে বাস্তবে এর বিপরীতটি ঘটেছে। প্রযুক্তিটি আরও বেশি মানুষকে এই খাতে দক্ষতা অর্জনে উৎসাহিত করেছে, যা কোর্সেরার মতো অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্মের জন্য ইতিবাচক হয়েছে।

ম্যাজিওনকালডা জানান, কোর্সেরা ওপেনএআই এবং গুগলের ডিপমাইন্ড সহ এআই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এআই কোর্স চালু করতে আগ্রহী।

এই প্ল্যাটফর্মের প্রত্যেক শিক্ষার্থী চ্যাটজিপিটির মতো একটি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন। এর নাম 'কোচ' এবং এটি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য তার পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী টিউটরিং দিতে পারে।

সূত্র: রয়টার্স

গ্রন্থনা: আহমেদ বিন কাদের অনি

 

Comments