ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যের মধ্যেই প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার পেতে যাচ্ছে বিশ্ব

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব থেকে দারিদ্র্যের অভিশাপ মুছে ফেলতে আরও ২০০ বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে। তবে ধনীরা অতি দ্রুতই আরও বেশি ধনী হচ্ছে। 

ব্রিটিশ দারিদ্র-দূরীকরণ ও দাতব্য সংস্থা অক্সফামের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিশ্ব প্রথম ট্রিলিয়নিয়ারের (১ লাখ কোটি ডলারের মালিক) দেখা পেতে পারে। 

গত ১৫ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত অভিজাত রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক নেতাদের এক সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে অক্সফাম।

১৯১৬ সালে বিশ্ব প্রথম বিলিয়নিয়ারের (১০০ কোটি ডলারের মালিক) দেখা পেয়েছিল। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা অভাবনীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, একইসঙ্গে ধনী ও গরীবের মধ্যে সম্পদ বৈষম্যের করুণ চিত্র নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। অনেকে বলেন, ভালো বিলিয়নিয়ার বলতে কিছু নেই।

কিন্তু অতি ধনীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান সমালোচনা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধনী ও গরীবের মধ্যে ব্যবধান আরও বেড়েছে। অক্সফাম বলছে, করোনা মহামারির পর থেকে এই বৈষম্য আরও তীব্র হয়েছে। করোনা মহামারি বৈশ্বিক অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতিসাধন করেছে এবং এর প্রভাবে চাকরির বাজারেও ধস নেমেছে। 

'ইন-ইকুয়ালিটি ইনক' শিরোনামে অক্সফামের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ আরও গরিব হয়ে পড়েছে। অথচ একই সময়ে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচজন ধনী ব্যক্তির সম্পদ দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সাধারণ মানুষ এবং অতি-ধনীদের মধ্যে সম্পদ বৈষম্য কমাতে অক্সফাম 'জনগণের কর্মকাণ্ডের একটি নতুন যুগের' আহ্বান জানিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধ করা, কর সংস্কার এবং করপোরেট আধিপত্যের বিরুদ্ধে সরকারি খাতকে শক্তিশালী করা।

অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাহী পরিচালক অমিতাভ বেহার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, 'আমরা একটি বিভক্তির দশকের শুরু দেখছি, যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ মহামারি, মুদ্রাস্ফীতি এবং যুদ্ধের অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলা করছে। অন্যদিকে বিলিয়নিয়ারদের সম্পদও ফুলে ফেঁপে উঠছে। আমাদের অর্থনীতি এবং জীবনের ওপর কোনো করপোরেশন বা ব্যক্তির এতটা ক্ষমতা থাকা উচিত নয়।'

সূত্র: টাইম ডট কম

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

 

Comments

The Daily Star  | English

Jatiyo Party's office set on fire in Khulna

Protesters vandalised the Jatiyo Party office in Khulna's Dakbangla area last evening

1h ago