চেক জালিয়াতি: ইভ্যালির রাসেল, শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিন। ছবি: সংগৃহীত

চেক জালিয়াতির মামলায় বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ সোমবার আইনজীবী সাদিকুর রহমান তমাল জানান, সমন জারি করা হলেও ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আলী হায়দারের আদালতে আজ এই দম্পতি হাজির না হওয়ায় আদালত এই আদেশ দেন।

তাদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের বিষয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ইভ্যালির গ্রাহক মো. তানভীর হোসেন ২০২১ সালের ১৩ মার্চ বিজ্ঞাপন দেখে মোটরসাইকেল কেনার জন্য কোম্পানিকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু কোম্পানি নির্ধারিত ৪৫ দিনের মধ্যে মোটরসাইকেল সরবরাহ করেনি।

পরে ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি ওই গ্রাহককে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার চেক দিলেও তাদের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা বাতিল হয়।

এরপর গত বছরের ২২ অক্টোবর ওই গ্রাহক তার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ওই দম্পতিকে মোটরসাইকেল সরবরাহের জন্য নেওয়া টাকা ফেরত দিতে বলেন।

কিন্তু সময়মতো টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রাহক গত বছরের ২২ ডিসেম্বর আদালতে মামলা করেন।

ই-ভ্যালির রাসেল গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে এবং নাসরিন ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় এক গ্রাহকের দায়ের করা মামলায় রাসেল ও নাসরিনকে মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

পরে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানা ও আদালতে অর্থ আত্মসাতের আরও পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়।

ইভ্যালি যেটি এখনও তার গ্রাহকদের কাছে কয়েকশ কোটি টাকার পণ্য সরবরাহ করতে পারেনি এবং বিক্রেতাদের অর্থ দিতে পারেনি, ২০২২ সালের অক্টোবরে তারা আবারো কার্যক্রম শুরু করেছে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

19h ago