নির্বাচনের পর কৃত্রিম ফুর্তিতে মেতে থাকার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীনরা: রিজভী
নির্বাচনের পর কৃত্রিম আনন্দ-ফুর্তিতে মেতে থাকার চেষ্টা করলেও, ক্ষমতাসীনরা প্রতিনিয়ত ক্ষমতার ভয় তাড়া করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় রিজভী বলেন, 'গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, সরকার যেন ক্ষমতায় থাকতে না পারে সেজন্য বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা আশা করছে। আমি ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই বিদেশিদের ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এটা এখন আমার বক্তব্য নয়। যারা বিএনপি করেন না, এমন বুদ্ধিজীবী-কলামিস্ট-লেখকরা প্রতিনিয়ত এ কথাগুলো বলছেন।'
তিনি বলেন, 'একদিকের রাষ্ট্রশক্তিকে বানিয়েছেন তিনি আওয়ামী চেতনায় লালিত করে, অন্যদিকে পুলিশ-র্যাব দিয়ে জনগণের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতন-কারা নির্যাতন করে যাচ্ছেন। আর পেছনে রয়েছে তাদের বড় শক্তি। এই শক্তিতে উদ্বুদ্ধ হয়েই আহ্লাদিত আওয়ামী সরকার।'
'আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে বলতে চাই, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ডামি সরকার গঠন করে আপনারা এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন। জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন আপনারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুঁজছেন। ৭ জানুয়ারিতে জনগণ আপনাদের চূড়ান্তভাবে একেবারে মাঠ থেকে বের করানোর জন্য যে লালকার্ড দেয়, সেই লালকার্ড জনগণ আপনাদের দেখিয়েছে। সেই একদলীয় একতরফা ভুয়া নির্বাচনে ভোটাররা যায়নি,' বলেন তিনি।
রিজভী আরও বলেন, 'গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাল ভোট ও অনিয়মের হাজারো চিত্র ভাইরাল হয়েছে। শিশুরাও দেদারসে সিল মেরেছে। আওয়ামী লীগের পরাজিত দলীয় প্রার্থীরাও এই নির্বাচনকে প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন বলে অভিহিত করেছে।'
তিনি বলেন, 'এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন দেশে—বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আমাদের উন্নয়নে অংশীদার দেশগুলোও তামাশার নির্বাচন বাতিল করে নতুনভাবে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। সহিংসতা ও বিরোধী নেতাকর্মীদের দমনের মধ্য দিয়ে একতরফা নির্বাচন করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে।'
'নির্বাচনের পর কৃত্রিম আনন্দ-ফুর্তিতে মেতে থাকার চেষ্টা করলেও, ক্ষমতাসীনরা প্রতিনিয়ত ক্ষমতার ভয় তাড়া করছে,' মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের অফিস পুলিশ প্রশাসন যেভাবে বন্ধ করে দিয়ে ক্রাইম সিন লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল, সেটার পর প্রচণ্ড দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে তারা একতরফা নির্বাচন করেছে।'
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, খান রবিউল ইসলাম রবি, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম তেনজিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Comments