ফের চোট পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নেই নাদাল

ছবি: এক্স

নিতম্বের চোটের কারণে প্রায় এক বছর টেনিসের বাইরে ছিলেন রাফায়েল নাদাল। সেরে উঠে কোর্টে ফিরলেও এক সপ্তাহের মধ্যে আবার নিতম্বেই চোট পেয়েছেন তিনি। সেকারণে আসন্ন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে পারবেন না ৩৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ তারকা।

রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে নাদাল নিজেই বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চলাকালে নিতম্বে চোট পান নাদাল। এরপর জুন মাসে তার সফল অস্ত্রোপচার করানো হয়। সুস্থ হয়ে গত সপ্তাহে ব্রিসবেন ইন্টারন্যাশনাল দিয়ে টেনিসে ফেরেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রস্তুতিমূলক ওই প্রতিযোগিতায় একক বিভাগে প্রথম দুটি ম্যাচেই জেতেন নাদাল। তবে গত শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে জর্ডান থম্পসনের কাছে হেরে যাওয়ার দিনে ফের নিতম্বে চোট পান তিনি।

নাদালের এবারের চোটটি অবশ্য নিতম্বের আগের জায়গাতে নয়। স্ক্যান রিপোর্টে তার বাম উরুর উপরের দিকের মাংসপেশি সূক্ষ্মভাবে ছিঁড়ে (টিয়ার) গেছে। তিনি লিখেছেন, 'ব্রিসবেনে আমার সবশেষ ম্যাচের সময় পেশিতে একটি ছোট সমস্যা হয়, যা আমাকে চিন্তিত করে তুলেছিল।'

২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী এই খেলোয়াড় যোগ করেছেন, 'মেলবোর্নে পৌঁছেই আমি এমআরআই করার সুযোগ পাই এবং আমার পেশিতে একটি সূক্ষ্ম টিয়ার ধরা পড়েছে। আমার আগের চোট যেখানে হয়েছিল এবারেরটা সেখানে হয়নি এবং এটি একটি ভালো খবর।'

অস্ট্রেলিয়া থেকে নিজ দেশ স্পেনে ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নাদাল, 'এই মুহূর্তে আমি টেনিসের সর্বোচ্চ স্তরে পাঁচ সেটের ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রস্তুত নই। ব্যক্তিগত চিকিৎসককে দেখাতে, চিকিৎসা নিতে ও বিশ্রামের জন্য আমি স্পেনে ফিরে যাচ্ছি।'

দ্রুত কোর্টে ফেরার আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন তিনি, 'এবারের প্রত্যাবর্তনের জন্য আমি চলতি বছর খুব কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং সব সময় বলেছি, আমার লক্ষ্য তিন মাসের মধ্যে নিজের সেরা অবস্থায় থাকা... আমি সত্যিই এখানে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে চেয়েছিলাম। কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগও পেয়েছি। এটা আমাকে খুব আনন্দিত ও ইতিবাচক করেছে। সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ, শিগগিরই দেখা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

15h ago