নির্বাচন নিয়ে সকাল থেকে ছেলেখেলা চলছে: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সকাল থেকে ছেলেখেলা করছে সরকার। জনগণ এই নির্বাচন বর্জন করেছে।

আজ রোববার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন বলেন, 'আজ যে নির্বাচন হচ্ছে সেটি আদ্যোপান্ত একটি ইয়ার্কি-ঠাট্টার নির্বাচন। একতরফা একচেটিয়া নির্বাচনের সেটআপ তারা আগেই করেছে। কিন্তু তাদের ভেতরে উদ্বেগ উঁকি দিচ্ছে।'

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, 'আমরা আজ আনন্দিত যে আমাদের নেতাকর্মীদের বন্দি করে নির্যাতন করার পরও আমরা সত্য উচ্চারণে দ্বিধা করি না। আমরা মানুষের কাছে নির্বাচন বর্জন করতে বলেছি।'

তিনি বলেন, 'মানুষ অভূতপূর্বভাবে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। ইতিহাস আজ সাক্ষী হয়ে থাকবে। এতকিছুর পরও এক থেকে দেড় শতাংশের বেশি ভোটারদের তারা ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেনি।'

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যের উল্লেখ করে রিজভী বলেন, 'তিনি কিছুক্ষণ আগে বলেছেন ১৭-১৮ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে। উনি কীভাবে বললেন এই কথা। তিনিই কিন্তু বলেছেন যে বিভিন্ন কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।'

তিনি বলেন, 'একতরফা নির্বাচনের সব বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে এ নির্বাচনে। সকাল থেকে কোনো ভোটকেন্দ্রে কেউ নেই। আমরা একটি বিশ্বাসযোগ্য ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম।'

'এটি কোনো নির্বাচনী প্রতিক্রিয়া নয়' মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, 'জনগণ যে ভোট দিতে না যাওয়ার আহ্বান শুনেছেন, আমরা সেই জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২০১৪ আর ২০২৪ যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তবুও, সকাল থেকে শুরু হয়েছে নিজেদের মধ্যে মারামারি।'

'বিভিন্ন জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকারের সব সুবিধা পেয়েছে। সরকার যেমন নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করার চেষ্টা করছে, তেমনি অনেক জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকেও তারা বিজয়ী করার চেষ্টা করছে,' বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, 'অনেক জায়গায় ব্যালট পেপারে আগেই নৌকায় সিল মারা পাওয়া গেছে। তাহলে দেখুন এরা কতটা আত্মবিশ্বাসহীন। শুধু তাই নয়, আরও অসংখ্য তামাশা দেখা গেছে। দোহারে শিশুদের ভোট দিতে দেখা গেছে।'

তিনি বলেন, 'তারা কারচুপি করবে বলেই অনেক জনপ্রিয় পত্রিকার অনলাইন বন্ধ করে দিয়েছে। এখন তাদের শরিক দলের নেতারা মুখ খুলছেন। এটা কারচুপি না, এটা প্রকাশ্যে ডাকাতির নির্বাচন। ভোটার যখন আসছে না, তখন সিল মেরে ব্যালট ভরতে হচ্ছে। সিলেটে হাসপাতাল থেকে নার্সদের ধরে এনে ভোটের লাইনে দাঁড় করানো হচ্ছে।'

রিজভী আরও বলেন, 'এসব ঘটনা তুলে ধরার কারণ হচ্ছে যে, নির্বাচনকে নিয়ে সকাল থেকে কী ধরনের ছেলেখেলা এই সরকার করছে, তা জানানো। আওয়ামী পরিবারের কিছু লোক ছাড়া সবাই এই প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করেছে।' 

    

Comments

The Daily Star  | English

Public admin reforms: Cluster system may be proposed for ministries

The Public Administration Reform Commission is likely to recommend reducing the number of ministries and divisions to 30 from 55 to improve coordination and slash the government’s operational cost.

6h ago