বাশখাঁলীতে বুথের ভেতর নৌকা-ঈগলের একাধিক এজেন্ট

নৌকার এজেন্ট
জলদি বাদালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথে নৌকার দুজন এজেন্টকে দেখা গেছে। ছবি: মোহাম্মদ সুমন/স্টার

চট্টগ্রাম-১৬ আসনে (বাঁশখালী) দুটি কেন্দ্রের একই ভোটকক্ষে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের একাধিক পোলিং এজেন্ট দেখা গেছে। 

আজ রোববার সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর ১৫ মিনিট পর সোয়া ৮টার দিকে বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথে আওয়ামী লীগের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমানের দুজন পোলিং এজেন্ট ছিলেন।

অন্যদিকে, জলদী ভাদালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৬ নম্বর বুথে বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের নৌকা প্রতীকের দুইজন এজেন্ট দেখা যায়।

আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছিলেন মোহাম্মদ ইলিয়াস ও আলী হায়দার। তাদের দুজনকে ঈগল প্রতীকের ব্যাচ পরা অবস্থায় বুথে বসে থাকতে দেখা যায়।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সবিতা দাশ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একটি বুথে এক প্রার্থীর দুজন পোলিং এজেন্ট থাকার সুযোগ নেই। তাই একজনকে বের করে দিয়েছি।'

সকালে এই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ৮টি বুথে একজন-দুজন করে ভোটার হাজির হয়েছেন। এ সময় নৌকা প্রতীকের স্টিকার লাগানো একটি অটোরিকশাকে ভোটারদের কেন্দ্রে আনা-নেওয়া করতে দেখা যায়। 

এই কেন্দ্রের মোট ভোটার ৩ হাজার ৭৩৬ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ৪৯৯ জন, যা মোট ভোটারের ১৩ শতাংশ। 

এদিকে, বাঁশখালী পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের জলদী কেয়াং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ২ ঘণ্টায় ৪৬৭ জন ভোট দিয়েছেন, যা মোট ভোটারের ১৭ শতাংশ। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৭৯৭ জন। 

জলদী ভাদালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৪৮৬ জনের মধ্যে প্রথম ২ ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ২৯১ জন। ভোট গ্রহণের হার ৮ শতাংশ। 

এই কেন্দ্রেও বাইরে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের ব্যাচধারীদের অবস্থান করতে দেখা যায়। তবে কেন্দ্রের ভেতরের ভোটার উপস্থিতি ছিল কম।

১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে এই আসনে ১০ জন প্রার্থী। এ আসনে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৮ জন। 

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

6h ago