গঙ্গার পানিবণ্টন: পদ্মায় ভারতীয় প্রতিনিধিদলের পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ শুরু

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। ফাইল ফটো

প্রতি বছরের মত এ বছরও গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন থেকেই দুই দেশের যৌথ নদীর পানি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

আজ সোমবার সকালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে ভারত সরকারের মনোনীত দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। একইসঙ্গে ৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ শুরু করেছে।   

পাবনা আঞ্চলিক হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের (সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন) নির্বাহী প্রকৌশলী অঙ্কিত দুদেজা ও সহকারী পরিচালক মুকেশ কুমার শর্মার নেতৃত্বে পর্যবেক্ষক দল পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টের ৪ হাজার ৫০০ ফিট উজানে পানি পরিমাপ শুরু করেছে।' 

অন্যদিকে, বাংলাদেশের পক্ষে যৌথ নদী কমিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াদুর রহমানের নেতৃত্বে উজানে ভারতের ফারাক্কা পয়েন্টে পানি পরিমাপ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। 

১৯৯৬ সালের ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সই করা গঙ্গার পানি চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দুই পয়েন্টে পদ্মার পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। 

চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি ১০ দিন পরপর পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। ফারাক্কা পয়েন্টে প্রথম ১০ দিন ৭০ হাজার কিউসেক বা কম পানি থাকলে দুই দেশ ৫০ শতাংশ করে পানির হিস্যা পাবে। দ্বিতীয় ১০ দিন ৭০-৭৫ হাজার কিউসেক পানিপ্রবাহ থাকলে বাংলাদেশ ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে এবং অবশিষ্ট পানি ভারত পাবে। 

শেষ ১০ দিন ৭৫ হাজার কিউসেকের বেশি পানি থাকলে, ভারত ৪০ হাজার কিউসেক পানি পাবে এবং অবশিষ্ট পানি পাবে বাংলাদেশ। 

তবে ১১ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ১০ দিন পরপর বাংলাদেশ ও ভারত পর্যায়ক্রমে ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি পাবে। 

পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, 'এ বছর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ গত বছরের চেয়ে অনেক কম। গত বছর জানুয়ারির প্রথম ১০ দিন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ছিল ৮৫ হাজার কিউসেকের বেশি। এ বছর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ৮০ হাজার কিউসেক পানিপ্রবাহ রয়েছে।'

'উজানে কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবার গঙ্গায় পানিপ্রবাহ কম। এ কারণে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ গত বছরের চেয়ে কম,' বলেন তিনি। 

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

12h ago