ঢাকা-১৯

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুর-হামলার অভিযোগ নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে

নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার ঘটনার পর মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-১৯ আসনের (সাভার-আশুলিয়া) স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের দুটি অস্থায়ী ক্যাম্প ভাঙচুর ও তার কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

রোববার রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুরের খাঁন ম্যানশন এলাকায় এই ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন—জাতীয় শ্রমিক লীগ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ ভূঁইয়া সানি, সাগর, সুজন, এনামুল হক ও নুর ইসলাম।

আহতরা সবাই ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের কর্মী।

ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রাজন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এই হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের কর্মী আহত সানাউল্লাহ ভূঁইয়া সানি।

তিনি বলেন, 'ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে সোনামিয়া মার্কেটে ট্রাক প্রতীকের একটি নির্বাচনী ক্যাম্প আছে। এই অফিস ভাঙচুর করেন রাজন ভূঁইয়া। খবর পেয়ে আমরা চারজন দুটি মোটরসাইকেলযোগে সেখানে যাই এবং রাজন ভূঁইয়াকে বলি নির্বাচন করার অধিকার সবারই আছে। তুমি ট্রাক প্রতীকের ক্যাম্প ভাঙচুর করেছ কেন? যে যার নির্বাচন করো। ট্রাক প্রতীকে যারা নির্বাচন করে, তারা তাদের মতো করুক। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের পাশেই রাজনের ব্যক্তিগত অফিস থেকে চাপাতি, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং তিন-চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।'

তিনি জানান, হামলায় গুরুতর আহত হলে সমর্থকরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনার পর রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া ছয়তলা এলাকা অবরোধ করে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ রাত ১২টা পর্যন্ত সড়কটি অবরোধ করে রেখেছিলেন শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা।

হাসপাতালে আহত কর্মীদের দেখে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের সরাসরি নির্দেশে রাজন মেম্বারের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী আমার দুটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছে। আমার কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। আমি নির্বাচন কমিশন ও অনুসন্ধান কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি।'

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ঘটনাটি তদন্ত করছি। অভিযুক্তদের আটকে অভিযান চলছে।'

Comments