সহিংস আচরণ করলে জয়ী প্রার্থীরও গেজেট বন্ধ হতে পারে: ফরিদপুরের ডিসি

ফরিদপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি, আইন-শৃঙ্খলা ও ভোটার উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

'নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও কেউ যদি কারও প্রতি সহিংস আচরণ করে, তাহলে তার গেজেট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারও সহিংস আচরণ সহ্য করা হবে না,' বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি, আইন-শৃঙ্খলা ও ভোটার উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুরের কবি জসীম উদ্দীন হলে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, 'নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। বিজিবি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে, সেনাবাহিনী নামবে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে।'

তিনি আরও বলেন, 'একমাত্র পুলিশ ছাড়া অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যে আর্মসগুলো আছে, সবগুলো কিন্তু মারণাস্ত্র। সেগুলো কিন্তু রাবার বুলেট নয়। এ জন্য আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, কেউ যদি সহিংসতার পরিকল্পনা করে, তার জন্য কঠিন পরিণতি অপেক্ষা করছে।'

কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, 'ফরিদপুরের কয়েকটি আসনের প্রার্থীরা যে কদর্য ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, তা একজন সংসদ সদস্য প্রার্থীর মুখে মানায় না। এ বক্তব্যগুলো আমরা আমলে এনেছি এবং নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছি।'

তিনি বলেন, 'মিথ্যা মামলা দিয়ে কোনো প্রার্থীর কর্মী কিংবা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার সুযোগ নেই। ভোটের দিন বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে পুনরায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা বিধান করা হবে।'

ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজওয়ান-উল- ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. মোরশেদ আলম।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

10h ago