বাংলাদেশকে সাড়ে ২৩ কোটি ডলার মানবিক সহায়তা দেবে অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার মাইলফলক স্থাপনা সিডনি অপেরা হাউস। ছবি: রয়টার্স
অস্ট্রেলিয়ার মাইলফলক স্থাপনা সিডনি অপেরা হাউস। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার শরণার্থীদের সহায়তা ও বিদেশে মানবিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে মোট ২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এর মধ্যে বাংলাদেশকে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও দারিদ্র্যপীড়িত সম্প্রদায়ের সহায়তার জন্য দেয়া হবে।

২ কোটি ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে আফগানিস্তানের জন্য। সুদানে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে বাস্তুচ্যুতদের সহায়তার জন্য দেওয়া হবে আরও ১ কোটি ডলার।

সম্প্রতি জেনেভায় আয়োজিত জাতিসংঘের বৈশ্বিক শরণার্থী সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো মানবিক অর্থায়নের অঙ্গীকার করে। সেখানে অন্যান্য দেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াও শরণার্থীদের বিষয়ে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন, 'আধুনিক ইতিহাসে আমরা সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট দেখছি। বিশ্বব্যাপী ১১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের মানবিক সহায়তা বাস্তুচ্যুতির কারণগুলোকে মোকাবিলা করার ও স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।'

গত আগস্টে অভিবাসন মন্ত্রী অ্যান্ড্রু জাইলস ঘোষণা করেছিলেন যে অস্ট্রেলিয়ার মানবিক পুনর্বাসন কর্মসূচি বার্ষিক ১৭ হাজার ৮৭৫ থেকে বেড়ে ২০ হাজারে উন্নীত করা হবে। যা এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।

অভিবাসন মন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'এই অঙ্গীকারের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সমর্থন করার জন্য দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি দুর্ভাগ্যজনক যে, আগের চেয়ে বেশি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।'

যুক্তরাষ্ট্রের সরকার সম্প্রতি একটি শরণার্থী উপদেষ্টা প্যানেলও প্রতিষ্ঠা করেছে। এই প্যানেলের কাছ থেকে অস্ট্রেলিয়া তাদের কর্মসূচির বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারবে।

জেনেভায় জাতিসংঘের সম্মেলনে যোগদানকারী দেশ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুতি সংকটের জন্য মোট ৩৩০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে কয়েক হাজার শরণার্থীর জন্য চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

 

Comments

The Daily Star  | English

Protests disrupt city life, again

Protests blocking major thoroughfares in Karwan Bazar and Shahbagh left the capital largely paralysed

13m ago