নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা: যা করা যাবে, যা যাবে না

campaigns-for-elections
ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এক হাজার ৮৯৬ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে সারা দেশে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে।

তবে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী বিধি কার্যকর হয়েছে।

২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম জারি করা নির্বাচনী বিধি বেশ কয়েকবার সংশোধন করা হয়েছে।

২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর দেওয়া প্রবিধানের সর্বশেষ সংশোধনীর ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনী আচরণবিধিতে কী করা যাবে ও কী করা যাবে না—তা তুলে ধরা হলো।

পোস্টার, লিফলেট বা পেইন্টিং

ভবন, দেয়াল, গাছ, ল্যাম্পপোস্ট বা সরকারি স্থাপনা এবং বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চ, রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহনে কোনো পোস্টার লাগানো যাবে না। অন্য প্রার্থীর পোস্টারের ওপরেও পোস্টার সাঁটানো যাবে না। দেয়াল বা যানবাহনে যেকোনো ধরনের ছবি আঁকাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

যানবাহন ব্যবহার করে মিছিল করা যাবে না

প্রার্থীদের মোটরসাইকেল শোডাউন কিংবা বাস, ট্রাক ও নৌকার মতো যানবাহন ব্যবহার করে মিছিল করতে নিষেধ করা হয়েছে।

প্রচারণার বিধি-নিষেধ

- প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না

- গেট বা তোরণ নির্মাণ করা যাবে না এবং চলাচলের পথে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না

- ৪০০ বর্গফুটের বেশি স্থান নিয়ে কোনো প্যান্ডেল বা মঞ্চ করা যাবে না

- বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না

- সড়ক, জনগণের চলাচল কিংবা সাধারণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে না

- প্রার্থীর ছবি, প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক কোনো বক্তব্যসহ শার্ট, জ্যাকেট বা ফতুয়া ব্যবহার করা যাবে না

- মসজিদ, মন্দির গির্জা বা অন্য ধর্মীয় কোনো উপাসনালয়ে কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না

- ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বা কোনো ধরনের তিক্ত (উসকানিমূলক বা মানহানিকর) কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না

- কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে কোনো বলপ্রয়োগ বা অর্থ ব্যয় করতে পারবে না

আইনপ্রণেতাদের জন্য নিয়ম

মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতারা প্রচারণা-সংক্রান্ত কাজ করার সময় সরকারি যানবাহন ব্যবহার বা অন্যান্য সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। পাশাপাশি সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে অনুদানও নিতে পারবেন না তারা।

ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য সরকার কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন বা উদ্বোধন করতে পারবে না।

এ ছাড়া প্রার্থী কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা সদস্য হয়ে থাকলে নির্বাচনের আগে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের সভায় অংশ নিতে পারবেন না।

সার্কিট হাউস, সরকারি বাংলো বা অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে দলীয় সভা ও প্রচারণার অনুমতি দেওয়া হবে না।

উপসংহার

২০০৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনের আচরণবিধি অনুসারে, সব দলীয় প্রার্থী বা ব্যক্তির একই অধিকার রয়েছে। কেউ অন্য প্রার্থীকে বাধা দিতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ও অনুমোদনের পর সব অনুষ্ঠান করতে হবে।

শাস্তি

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার শাস্তি অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ড।

Comments

The Daily Star  | English

Structural weaknesses, poor governance plague economic reform: Debapriya

“If there is no stability in the economy, no other reform will be sustainable,” he said.

2h ago