জাপানে বিজয় দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাস। এ উপলক্ষে আজ শনিবার বাংলাদেশ দূতাবাস টোকিওতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী জাতীর বীর সন্তানদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা, মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সকাল ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ। এসময় সমবেত কণ্ঠে সবাই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ জাপান প্রবাসীসহ সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আজ সারাবিশ্বে স্বীকৃত। করোনা মহামারি পরবর্তী বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করা সত্ত্বেও বাংলাদেশে আশাব্যঞ্জক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।'
লিখিত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বর্তমান সরকারের চলমান এবং বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ফিরিস্তি তুলে ধরেন এবং কিছু কিছু প্রকল্পে জাপানিদের সম্পৃক্ততার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান। এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জাপান–বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবেও বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও, তেযুকা নোরিফুমি বাংলা ভাষায় বক্তব্য প্রদান করেন।
এরপর প্রবাসীসহ আমন্ত্রিত জাপানি অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
Comments