রিশাদের ঝড়ো ইনিংসে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের বড় পুঁজি

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তার আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে সফরকারী টাইগাররা। চার ব্যাটারের ফিফটির সুবাদে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করেছে বড় পুঁজি। এই সংগ্রহের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রিশাদ হোসেনের। সাতে নেমে প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে লিংকনের বার্ট সাটক্লিফ ওভালে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। ৪৯.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে তারা তুলেছে ৩৩৪ রান।

লেগ স্পিনার হিসেবে পরিচিত রিশাদ এদিন ব্যাট হাতেও নিজের সামর্থ্য দেখান। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মাত্র ৫৪ বল মোকাবিলায় তিনি হাঁকান ১১ চার ও ৪ ছক্কা। তার কল্যাণেই বাংলাদেশের রান তিনশ ছাড়ায়। তিনি যখন ক্রিজে গিয়েছিলেন, তখন ১৮৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে ছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। এরপর লিটন দাসের সঙ্গে ৭০ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি।

এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা লিটন বিদায় নেন ৬৩ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৫ রানে। সেসময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২৫৪। তারপর তারা যে আরও ৮০ রান যোগ করে, সেখানে রিশাদেরই অবদান ৬৩। ছক্কা মেরে তিনি ফিফটি পেরিয়ে গিয়েছিলেন ৩৪ বলে। এরপর মুখোমুখি হওয়া ২০ বলে আনেন আরও ৩৬ রান।

এর আগে তানজিদ হাসান তামিম ও এনামুল হক বিজয়ের ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের শুরুটা হয় ভালো। ২৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ করে সাজঘরে ফেরেন এনামুল। দ্বিতীয় উইকেটে ১০১ রানের বড় জুটি গড়ে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন তানজিদ ও সৌম্য সরকার। দুজনই আক্রমণাত্মক কায়দায় খেলে পান হাফসেঞ্চুরির দেখা। তানজিদ করেন ৫৮ রান। তার ৪৬ বলের ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ৪ ছক্কা। ৮ চার ও ১ ছয়ে ৫৬ বলে ৫৯ রান আসে সৌম্যর ব্যাট থেকে।

এই জুটি ভাঙার পর ৩৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তাওহিদ হৃদয় ৫ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। আফিফ হোসেন থামেন ১৩ বলে ১০ রানে। তবে লিটনের দায়িত্বশীল ইনিংস ও শেষদিকে রিশাদের তাণ্ডবে তিনশ ছাড়িয়ে আরও উঁচুতে যায় দলের সংগ্রহ।

Comments

The Daily Star  | English
US attack on Iran nuclear sites

Iran denounces US attack as ‘outrageous’

Iran says 'no signs of contamination' after US attacks on key nuclear sites

11h ago