দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি ট্যাংক, ঝুঁকিতে শহরের ৬ লাখের বেশি বাসিন্দা

গাজা শহরের শাজাইয়া জেলায় ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক পরিচালনা করছেন। ছবি: রয়টার্স
গাজা শহরের শাজাইয়া জেলায় ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক পরিচালনা করছেন। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ গাজার সবচেয়ে বড় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি ট্যাংক বহর ঢুকে পড়েছে। যার ফলে জীবন ঝুঁকিতে আছেন শহরটির বাসিন্দারা।

আজ সোমবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

খান ইউনিসে এ মুহূর্তে প্রায় ৬ লাখ ২৬ হাজার ফিলিস্তিনি বসবাস করছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই উত্তর গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে এখানে এসেছেন। এর আগে নিরাপত্তার জন্য উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণে সরে যেতে বললেও এখন সেখানেও ইসরায়েল নির্বিচার হামলা শুরু করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী শহরটির পশ্চিম দিক দিয়ে সামনে আগানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনী হামাস। 

রোববার খান ইউনিসের কয়েকজন বাসিন্দা রয়টার্সকে জানান, শহরের মূল উত্তর-দক্ষিণ সড়কে ইসরায়েলি ট্যাংক পৌঁছে গেছে। পশ্চিমের এলাকাগুলোতে যুদ্ধবিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।

রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তব্যে দাবি করেন, গত কয়েকদিনে বেশ কয়েক ডজন হামাস যোদ্ধা আত্মসমর্পণ করেছে। হামাস এই দাবি নাকচ করে জানিয়েছে, তারা ১৮০টি ইসরায়েলি সামরিক পরিবহন ধ্বংস করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মন্তব্য করেছে, গাজার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিপর্যয়কর।

কূটনীতিকরা রোববার জানিয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে ভোটের আয়োজন করা হবে।

শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের এক প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

রোববার কাতারের রাজধানী দোহায় আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যুক্তরাষ্ট্রের এই ভেটোর সমালোচনা করেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানান, তিনি যুদ্ধবিরতির দাবি জানানোর বিষয়ে 'হাল ছাড়বেন না'। 

দক্ষিণ গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি ট্যাংক। ফাইল ছবি: রয়টার্স
দক্ষিণ গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি ট্যাংক। ফাইল ছবি: রয়টার্স

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিতে হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং হামাসের হাতে জিম্মি হন প্রায় ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক। এ ঘটনার পর হামাসকে নির্মূল করার অঙ্গীকার করে ইসরায়েল এবং গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে। মাঝে সাত দিন যুদ্ধবিরতি থাকলেও বাকি প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৪৯ হাজার ৫০০।

গুতেরেস জানান, খান ইউনিসের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক এবং এখানে বড় আকারে সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

1h ago