নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে: ইসি আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। স্টার ফাইল ফটো

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, 'নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। অতীতের মতো সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। অতীতের জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। এবার সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি।'

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি নির্বাচনে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমাদের যে পর্যন্ত সুযোগ ছিল আমরা বলেছি। এ মুহূর্তে কোনো সুযোগ আছে বলে আমাদের আইন অনুযায়ী দেখছি না। যদি তারপরও কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, সেক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে। আমরা যা কিছু করি না কেন তা সংবিধানের আলোকে করতে হবে।'

নির্বাচনে বিদেশি চাপ নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'বিদেশিরা কখনোই আমাদের চাপ দেয়নি। আমাদের চাপ দেয়ার রাইটও তাদের নেই। আমাদের প্রতি কারো কোনো চাপ নেই। শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অন্য সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনে গতকাল পর্যন্ত ৮২ জন বিদেশি পর্যবেক্ষকের আসার তালিকা পেয়েছি। ৪৬ জন বিদেশি সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচনে একটি নীতিমালা রয়েছে। সে নীতিমালা সকল সাংবাদিকদের অনুসরণ করতে হবে।'

ইউএনও এবং ওসিদের বদলীর ব্যাপারে তিনি বলেন, 'বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আমাদের সাথে সংলাপ করেছেন। সেখানে তাদের অভিযোগ ছিল সরকার প্রশাসনকে সাজিয়ে গুছিয়ে তাদের মতো করে নিয়েছেন। সরকারের অনুকূলে তারা কাজ করেন। এ অবস্থায় প্রশাসনে পরিবর্তন করতে হবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিমত ছিল।'

জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Next nat'l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

Ensuring free and fair polls is now the main responsibility of EC and govt, he says

15m ago