ইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছে এইবার নির্বাচন ভালো হবে: জাপা মহাসচিব

mujibul haque chunnu
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর ফাইল ফটো | সংগৃহীত

দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষের ভোটের চেয়ে বিপক্ষের ভোট অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এদেশে ভোটের হিসাবে বিভিন্ন সময় দেখা যায়, অ্যান্টি-আওয়ামী লীগ ভোট বেশি। অ্যান্টি-আওয়ামী লীগ ভোট আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি। আওয়ামী লীগের পক্ষের ভোটের চেয়ে বিপক্ষের ভোট অনেক বেশি।

বিএনপি না এলেও নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। ভোটার কেন্দ্রে আসতে পারলে আমরা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব। ২০০১ সালে আমার আসনে দেখেছি, আওয়ামী লীগের চেয়ে অ্যান্টি-আওয়ামী লীগ ভোট ডাবল। বিএনপি কেন নেই, সেটা তো আপনারা জানেনই। তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপি তাদের টেকনিকে চলে, জাতীয় পার্টি তার নিজস্ব কৌশলে চলে। এজন্য আমরা ভোটে এসেছি। ভোটের পরিবেশ নিয়ে আমাদের দ্বন্দ্ব ছিল। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আমাদের জোরালভাবে আশ্বস্ত করেছে। সরকার বলছে, তারাও একটা পরিবেশ করার চেষ্টা করবে যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে আসে। সাধারণ মানুষ যদি কেন্দ্রে আসার সুযোগ পায়, আমার মনে হয় আমরা আওয়ামী লীগের চেয়ে ভালো করব।

ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে জাপা মহাসচিব বলেন, ইসি আমাদের সর্বোচ্চ আশ্বস্ত করেছে৷ আমাদের যে দাবি, ভোটাররা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসতে পারে, আসার উৎসাহ পায়, সেরকম একটা পরিবেশ ও ভোটাধিকার যাতে প্রয়োগ করতে পারে, তার পরিবেশ। ইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছে। ইসিকে সহযোগিতা করার সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব সরকারের। তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, ভালো পরিবেশ হবে। সেই ভালো পরিবেশে আশ্বস্ত হয়ে বা আশ্বাস পেয়ে আমরা নির্বাচনের কাজ শুরু করেছি। ১৮ ডিসেম্বরের পর মাঠে যাব, তখন বুঝব অবস্থা কী।

তিনি আরও বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী এখন কোনো প্রার্থীর মাঠে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা নির্বাচনের প্রাথমিক কাজগুলো সারছি। মনোনয়নপত্র দাখিল, অনেকেরটা বাতিল হয়েছে। এসব জিনিস আমরা মনিটর করছি। আমরা নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝব প্রতীক বরাদ্দের পর। এর আগে কোনো প্রার্থীর ভোট চাওয়া বা প্রচার করার কোনো সুযোগ নেই। ফিল্ডে গিয়ে যদি জনগণের সঙ্গে বসে কথা বলা না যায়, তাহলে বাস্তবভাবে নির্বাচনে কী অবস্থা, সেটা এখন বলা মুশকিল। নির্বাচনের কী অবস্থা, মাঠের কী অবস্থা, ১৮ ডিসেম্বরের পরে হয়তো বলতে পারব।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা মনোনয়ন দিয়েছিলাম ২৯৪ জনকে। মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ২৮৮ জন। তাদের মধ্যে নয়জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়। আর পাঁচ বা ছয়জন নানান কারণে দাখিল করতে পারে নাই। এখন ২৭২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ আছে। যাদের বাতিল হয়েছে তারা আপিলে যাচ্ছেন।

'ইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছে, এইবার নির্বাচন ভালো হবে। দেখি তারা কী করেন', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago