নানাকে হারিয়ে অনেকটা একলা হয়ে গেছি: পরীমনি

porimoni_collected_ds
পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

সর্বশেষ তিন বছর আগে মডেলিং করেছিলেন ঢালিউডের নায়িকা পরীমনি। এতদিন পর আবার বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন জনপ্রিয় এই নায়িকা।

সোমবার বিজ্ঞাপনটির জন্য চুক্তি সই করেন পরীমনি।

বিষয়টি নিয়ে রোববার দর্শকপ্রিয় এ নায়িকা ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। লিখেছেন, 'আগামীকাল (সোমবার) দারুণ কিছু হবে।'

স্ট্যাটাসের বিষয়টি নিয়ে সোমবার কথা বলেছেন পরীমনি। দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নতুন কোনো সিনেমা কিংবা ওয়েব ফিল্ম নয়, নতুন একটি বিজ্ঞাপন করতে যাচ্ছি। তাও আবার তিন বছর পর। এজন্য অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত।  অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করছে।'

'মডেলিং খুব দ্রুত দর্শকদের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। মানুষের কাছ থেকে দ্রুত রেসপন্স পাওয়া যায়', যোগ করেন তিনি।

পরীমনি অভিনীত নতুন সিনেমা 'ডোডোর গল্প' ও একটি ওয়েব ফিল্মের শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কিছুটা সময় লাগছে। কেননা সম্প্রতি পরীমনি তার নানা শাসমুল হক গাজীকে হারিয়েছেন। কাছের মানুষকে হারিয়ে এখনো পুরোপুরি সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।

পরীমনি বলেন, 'যার যায়, সেই বোঝে কেমন লাগে। আমার সবচেয়ে আপনজন, সবচেয়ে কাছের মানুষটি আর থাকল না। নানা ছিলেন আমার জীবনে বাতিঘরের মতো। শিক্ষক মানুষ ছিলেন। সারাজীবন আলো ছড়িয়েছেন। আলোকিত করেছেন সমাজ।'

'আমার সবচেয়ে বড় ও একমাত্র অভিভাবক ছিলেন নানা। তাকে হারিয়ে বড় কিছু হারালাম আমি', বলেন তিনি।

নানাকে হারানোর পর পুনরায় শ্যুটিংয়ে ফিরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর বিষয়ে পরীমনি বলেন, 'ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে ভীতি কাজ করছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। ঘরটা শূন্য শূন্য লাগে নানাকে হারিয়ে। নানা শেষ বিদায় নিয়েছেন, এটা ভাবতে কেমন যেন লাগে। সান্ত্বনা খোঁজে পাচ্ছি না।'

porimoni-with-her-grandfather_collected_ds
নিানার সঙ্গে পরীমনি। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

তিনি আরও বলেন, 'বাড়িতে এখন আর কেউ থাকল না। একজন খালা আছেন। ছোট মা ডাকি তাকে। কত স্মৃতি নানার সঙ্গে। আমাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন, আদর করতেন। আমিও ভীষণ সম্মান করতাম। তাকে হারিয়ে অনেকটা একলা হয়ে গেছি।'

'নানা ছিলেন আমার অনুপ্রেরণা ও বিশ্বাসের বড় জায়গা। একটু স্বাভাবিক হলে পুনরায় কাজে ফিরব', বলেন পরীমনি।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

20m ago