তৃণমূল বিএনপি থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন জাপা নেতা রফিকুল

জাপা নেতা রফিকুল ইসলাম তৃণমূল বিএনপিতে
রফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা মো. রফিকুল ইসলাম নবগঠিত রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির হয়ে ঢাকা-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

তবে তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে জানেন না জাপার কেন্দ্রীয় নেতারা।

রফিকুল ইসলাম ১৯৯২ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি দলটির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং ২০২০ সাল পর্যন্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

রফিকুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি এখন আর জাতীয় পার্টির সঙ্গে নেই। কারণ তারা ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে উত্সাহ দেয় না।'

রফিকুল জাপার শ্যামপুর থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তার নির্বাচনী এলাকার বর্তমান সংসদ সদস্য জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

রফিকুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিনি (বাবলা) দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিলেও, এবার ঠিকই দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।'

গত ১০ বছরে বাবলা তার নির্বাচনী এলাকায় পর্যাপ্ত উন্নয়নমূলক কাজ করেননি বলে অভিযোগ করেন রফিকুল।

'আমাদের শ্যামপুর-কদমতলী এলাকায় অনেক শিল্পকারখানা আছে এবং এখানে মূলত শ্রমিকরা বাস করে। এই এলাকায় আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দরকার। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বহিরাগতরা এমপিরা নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তারা এখানে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করছেন, যার ফলে সমস্যা হচ্ছে,' বলেন রফিকুল।

রফিকুল সম্প্রতি তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর আর কোনো শান্তিপূর্ণ উপায় নেই। একবার ব্যর্থ হলেও, আরও সম্ভাবনা থাকে।'

রফিকুলের তৃনমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এ বিষয়ে তিনি জানেন না।

চুন্নু বলেন, 'প্রত্যেকেরই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার আছে। তবে দলের কোনো সদস্য অন্য দলে যোগ দিলে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago