ব্রাহ্মণবাড়িয়া

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আ. লীগ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় শত শত নেতাকর্মী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আসেন তিনি। এ সময় দলীয় সমর্থকেরা তার পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।

শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে আজ মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এসময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। ছবি: সংগৃহীত

পরে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী নিজের স্ত্রীসহ ২২ জনের বেশি নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের অফিস কক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচণ আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের উবায়দুল মোকতাদির বলেন, 'প্রথমবার যখন নির্বাচন করতে আসি, তখনও জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি। দ্বিতীয়বার যখন এসেছি তখনও একই উদ্দেশ্য ছিল। তৃতীয়বারও একই উদ্দেশ্য ছিল এবং চতুর্থবারও একই উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি।'

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দেন আজ। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উবায়দুল মোকতাদিরের সঙ্গে বেশি লোক ছিল না দাবি করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, 'বেশি লোক নিয়ে এসেছিল কিনা আমি দেখিনি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ম মেনেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।'

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী লুৎফুল হাই সাচ্চু। পরে ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর লুৎফুল হাই সাচ্চু মারা যাওয়ার পর আসনটিকে শূন্য ঘোষণা করে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে উপনির্বাচন দেয় কমিশন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Economic expectations: Did govt fall short?

When an interim government was sworn into office following the ouster of the Awami League regime just 100 days ago, there was an air of expectation that the Prof Muhammad Yunus-led administration would take steps to salvage a scam-ridden financial sector and rescue an ailing economy.

7h ago