জিপিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাছের দেখভাল করবে ডিএনসিসি

ঢাকার সব গাছে যদি জিপিআরএস প্রযুক্তি থাকত! ছবি: ডাল-ই এআই দিয়ে তৈরি প্রতিকী ও কাল্পনিক ছবি
ঢাকার সব গাছে যদি জিপিআরএস প্রযুক্তি থাকত! ছবি: ডাল-ই এআই দিয়ে তৈরি প্রতিকী ও কাল্পনিক ছবি

মোবাইল ইন্টারনেটের ২জি স্ট্যান্ডার্ড জিপিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন করে লাগানো গাছের ওপর নজর রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

গত ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বার্ক) অডিটোরিয়ামে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত রাস্তার ধারে, মধ্যবর্তী জায়গায় ও বস্তিগুলোতে নতুন করে গাছ লাগানো হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে শক্তি ফাউন্ডেশন ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশন। জাহাঙ্গীর গেট থেকে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত ও বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত রোপণ করা হয়েছে গাছগুলো।

ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে আগামী এক বছর গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেবে শক্তি ফাউন্ডেশন৷ গাছগুলোর সংখ্যা গণনা ও অবস্থান চিহ্নিত করার কাজে ব্যবহার করা হবে জিপিআরএস প্রযুক্তি।

জেনারেল প্যাকেট রেডিও সার্ভিসেস (জিপিআরএস) মোবাইল ডাটার মানদণ্ড যা ২জি ও ৩জি সেলুলার যোগাযোগ নেটওয়ার্কে কার্যকর থাকে।

বর্তমানে দ্রুতগতির ৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্ক কাজ করলেও এ ধরনের নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষনের কাজে জিপিআরএস যথেষ্ট উপযোগী।

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মধ্যম গতির ডেটা সুবিধা পাওয়া যায়। কারিগরি পরিভাষায়, এই প্রযুক্তিতে অব্যবহৃত টিডিএমএ চ্যানেলের ব্যবহার করা হয়। ৩জি, ৪জি ও হালের ৫জি আসার আগে জিপিআরএসকে প্রথাগত জিএসএম মোবাইল ব্যবস্থার উন্নত সংস্করণ হিসেবে বিবেচনা করা হোত। এর মাধ্যমে মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারে ডেটার প্রবাহ ও ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়। এক কালে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, এমএমএস পাঠানো ও মোবাইলে ইমেইল পাঠানো ও রিসিভের কাজে জিপিআরএসের বহুল ব্যবহার ছিল।

তবে এখনো ব্যক্তিগত যোগাযোগের বাইরে টেলিম্যাটিক্স, ট্র্যাকিং ও কৃষিখাতে জিপিআরএস প্রযুক্তির উপযোগিতা রয়েছে। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে তেমন কোনো বিলম্ব ছাড়াই দ্রুতগতিতে তথ্যের প্রবাহ ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম সম্ভব।

ইংরেজি থেকে ভাবানুবাদ করেছেন মাহমুদ নেওয়াজ জয়

Comments