ঢাকার রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই বেশি
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আন্দোলনরত বিএনপির ষষ্ঠ ধাপের অবরোধের প্রথম দিনে ঢাকার রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা অন্যান্য অবরোধের দিনগুলোর তুলনায় বেশি দেখা গেছে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মিরপুর, সেনানিবাস এলাকা ও বিমানবন্দর সড়কে যানবাহন তুলনামূলক কম দেখা গেলেও উত্তরার জসীমউদ্দিন এভিনিউ থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই দেখা গেছে।
সকাল ৮টায় উত্তরা এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি দেখা গেলেও এর ঘণ্টা খানেক পর সেখানে গাড়ির সংখ্যা হঠাৎ করেই কমতে শুরু করে।
একই সময়ে রাজধানীর আগারগাঁও, ফার্মগেট ও কারওয়ানবাজারসহ আরও কয়েকটি এলাকায় রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেলেও রাস্তায় অফিসগামী মানুষের ভিড় তেমনটি দেখা যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টার দিকে বিমানবন্দর সড়কে গাড়ির সংখ্যা মোটামুটি থাকলেও উত্তরা এলাকায় গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যায়। ওই এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ থাকায় জসীমউদ্দিন এভিনিউ থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ছোট ছোট যানজটের সৃষ্টি হয়।
গত সোমবার দলটির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের মধ্যে এই অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে।
এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি।
এরপর একদিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ দেওয়া হয়। আবারও শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে চতুর্থ দফায় ১২ ও ১৩ নভেম্বর দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি।
একদিন বিরতি দিয়ে ১৫ ও ১৬ নভেম্বর আবারও বিএনপি অবরোধ কর্মসূচি দেয়। পরে ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে ১৯ ও ২০ নভেম্বর হরতাল ডাকে বিএনপি।
গত সোমবার ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপির ৪৮০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মোট ১৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট আসামি এক হাজার ৯০০ জনের বেশি।'
Comments