সন্ধ্যায় মোংলা-পায়রা অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
আজ সকাল সাড়ে ১১টায় ঘূর্ণিঝড়টির সর্বশেষ অবস্থান। ছবি: উইন্ডিডটকম থেকে নেওয়া

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'তে রূপ নিয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি মোংলা ও পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া নয় নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করবে। আর এর অগ্রভাগের প্রভাব দুপুর থেকেই শুরু হবে।

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি 'অতটা শক্তিশালী নয়' উল্লেখ করে এই আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, আজ রাতে সারা দেশেই বৃষ্টি হবে। আগামীকাল থেকে এই বৃষ্টিপাত কমতে শুরু করবে। তখন শুধু উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত থাকতে পারে। ঢাকাসহ অন্যান্য এলাকায় কাল দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টিপাত কমে যাবে। তবে আকাশ মেঘলা থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরে আরও জানিয়েছে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুটের বেশি উচ্চতার বাতাসতাড়িত জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হতে পারে। এর প্রভাবে ঢাকা, ‍খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

Comments