নির্বাচনে কাউকে বাধা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ফটো

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার বদ্ধপরিকর। নির্বাচন অনুষ্ঠানে কাউকে বাধা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, 'কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দিতে চায়, আমরা তা হতে দেব না। কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না, আমরা তাদের শাস্তি দেব।'

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, 'বিদেশিরা যা বলে তা অপ্রাসঙ্গিক। বাস্তবসম্মত ও যুক্তিসঙ্গত না হলে আমরা তাদের প্রতি মনোযোগ দিই না।'

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল এবং তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। দলটি নির্বাচনে বিশ্বাস করে এবং জনগণ ও তাদের রায়ের উপর নির্ভর করে। কোন দূতাবাস কী বলছে তা অপ্রাসঙ্গিক?'

মোমেন বলেন, জনগণ অধীর আগ্রহে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ তাদের সমস্যার কথাও বলছে। সরকার এগুলো সমাধানের চেষ্টা করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি বড় দল, কিন্তু তাদের কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে হবে।

বিগত নির্বাচনে বিএনপির খুব খারাপ ফলাফলের কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, বিএনপি যখন নির্বাচনে আসবে তারপর তা উপলদ্ধি করবে।

প্রধানমন্ত্রীর সাহস ও আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দলের একটি ভিশন রয়েছে এবং তারা সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি বলেন, তারা অগ্নিসংযোগ চায় না এবং বিএনপি সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছে এবং ১৫৪টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে।

তিনি বলেন, 'আমরা অগ্নিসংযোগ সহ্য করব না। জনগণের সম্পত্তি ও জনগণকে রক্ষা করার অধিকার আমাদের আছে। আমরা মানুষ হত্যা করতে দেব না।'

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশের মানবাধিকারের সমালোচনা করছে তারা আসলে ঘুমাচ্ছে। তারা গাজায় নৃশংসতার কথা বলে না।

বাংলাদেশ ইস্যুতে দেওয়া বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তারা যদি না ঘুমায়, তাহলে তারা খুবই পক্ষপাতদুষ্ট।'

Comments

The Daily Star  | English

'Bangladesh applauds 20% US tariff as ‘good news’ for apparel industry

Bangladesh has welcomed the outcome of trade negotiations with Washington, securing a 20 percent tariff rate on its exports to the US under a sweeping new executive order issued by President Donald Trump.

1h ago