আল-শিফা হাসপাতালে 'চোখ বেঁধে-বিবস্ত্র করে ৩০ জনকে' জিজ্ঞাসাবাদ

হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, প্রায় ৩০ জনকে হাসপাতাল ভবনের ভেতর থেকে আটক করে বাইরে আনা হয়।
আল-শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গন। ছবি: রয়টার্স
আল-শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গন। ছবি: রয়টার্স

উত্তর গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় চলছে ইসরায়েলের অভিযান। হাসপাতালের ভেতর থেকে ৩০ জনকে আটক করে তাদেরকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই জেরা করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

আজ বুধবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানায়।

হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, প্রায় ৩০ জনকে হাসপাতাল ভবনের ভেতর থেকে আটক করে বাইরে আনা হয়। তাদের সবারই চোখ বাধা এবং পরনের পোশাক খুলে নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থাতেই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তাদেরকে জেরা করা হচ্ছে। তাদেরকে ঘিরে রেখেছে তিনটি ট্যাংক।

একটি ট্যাংক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রাখা হয়েছে, যাতে হাসপাতালের ভেতর কেউ চলাফেরা করতে না পারে।

সূত্র জানান, বিশেষায়িত সার্জারি বিভাগের ভেতর ইসরায়েলি কমান্ডোরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তারা সব দেয়াল ও পার্টিশন ভেঙে ফেলছে। প্রত্যেকটি কক্ষের মাঝের দেওয়াল ভেঙে ফেলার পর সেনারা বেসমেন্টে নেমেছে।

'বেসমেন্ট থেকে একজন একজন করে ডেকে এনে তাদের জেরা করা হচ্ছে', যোগ করেন হাসপাতাল সূত্র।

ইসরায়েলের এক রেডিও চ্যানেলের বক্তব্য থেকে জানা গেছে, আল-শিফা হাসপাতালে হামাসের হাতে আটক কোনো জিম্মিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ফিলিস্তিনিদের আশংকা, সেখানে হামাসের উপস্থিতি না থাকলেও ইসরায়েলি বাহিনী এ ধরনের কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করবে।

এখন পর্যন্ত আল-শিফায় হামাসের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, জিম্মি বা সুড়ঙ্গপথের উপস্থিতির কোনো প্রমাণ পায়নি ইসরায়েল।

 

Comments

The Daily Star  | English

Police didn't follow int'l standards while using lethal weapons: IGP

Police failed to adhere to the standards in home, which they have maintained during their UN missions, Mainul Islam said

7h ago