ডেভিড ক্যামেরন যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেভিড ক্যামেরন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার মন্ত্রিসভায় রদবদল এনেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নতুন করে দায়িত্ব নিয়েছেন। সেই সঙ্গে দক্ষিণপন্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদ্যসাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলিকে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে যুক্তরাজ্যজুড়ে চলমান বিক্ষোভ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ছিলেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনপন্থীদের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছে পুলিশ। উগ্র ডানপন্থীদেরকে উস্কানি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, তাদেরকে রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেওয়া যেতে পারে। গৃহহীনদের ব্যাপারেও অসংবেদনশীল মন্তব্যের কারণে তিনি সমালোচিত ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তারা স্বেচ্ছায় গৃহহীন থাকেন।

অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ক্যামেরন ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। যুক্তরাজ্যের জনগণ গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেওয়ার পর পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্যামেরন বলেছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাজ্যের জন্য বেশ কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি 'খুশি মনে' নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে ক্যামেরন বলেন, আমি মনে করি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে ১১ বছরের অভিজ্ঞতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ছয় বছরের অভিজ্ঞতা আমাকে প্রধানমন্ত্রী সুনাকের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

লিবিয়া থেকে মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত করতে পশ্চিমা দেশগুলোকে নেতৃত্বে দিয়েছিলেন ক্যামেরন। গাদ্দাফির অপসারণের পর গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল লিবিয়া।

২০১৩ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালাতে পার্লামেন্টের অনুমতি চেয়েছিলেন ক্যামেরন। তবে পার্লামেন্ট থেকে তিনি সেই অনুমতি পাননি।

২০২১ সালে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রিনসিলের পক্ষে লবি করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ক্যামেরন। প্রতিষ্ঠানটি পরে দেউলিয়া হয়ে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago