গ্রিল কেটে জব্দকৃত সরকারি চাল সরানোর চেষ্টাকালে খাদ্য কর্মকর্তা আটক
শরীয়তপুর ভেদেরগঞ্জ উপজেলায় সিলগালা করে দেওয়া জব্দকৃত সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ও বস্তা সরানোর চেষ্টাকালে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ঘটনায় তাকে পদ থেকে অপসারণেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে, গত শনিবার উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদের বাসায় ৫৯০ কেজি সরকারি চাল ও এক হাজার ১০০ খালি চালের বস্তা পেয়ে বাসাটিকে সিলগালা করে দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোববার সন্ধ্যায় বৈদ্যুতিক কাটার মেশিন দিয়ে সিলগালা করা বাসার জানালার গ্রিল কেটে জব্দকৃত সেই চাল ও বস্তা সরানোর চেষ্টা করেছিলেন ইকবাল মাহমুদ।'
তিনি বলেন, 'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকালে ইকবাল মাহমুদে বাসায় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেসময় তার বাসায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির তিন বস্তা ও ৫০ কেজির ১০ বস্তা চাল এবং এক হাজার ১০০ খালি চালের বস্তা পাওয়া যায়। পরে এগুলো জব্দ করে বাসাটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়।'
'আজ সন্ধ্যার দিকে খবর পাই জব্দকৃত সেই চাল ও বস্তা সরানোর চেষ্টা করছেন ইকবাল মাহমুদ। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে হাতেনাতে আটক করি', বলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি আরও বলেন, 'নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে এবং জব্দকৃত আলামত নষ্ট করতে এ কাজ করছিলেন ইকবাল মাহমুদ। আটকের পর তাকে জেলা খাদ্য কর্মকর্তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।'
তাকে অপসারণের নির্দেশনাসহ জেলাপ্রশাসক ও দুদককে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোশারফ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।'
এ ঘটনায় সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নুরুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Comments