শরীয়তপুরে ডেইলি স্টার নিউজপেপার অলিম্পিয়াডের সিলেকশন রাউন্ড অনুষ্ঠিত

শরীয়তপুরে ডেইলি স্টার নিউজপেপার অলিম্পিয়াডের সিলেকশন রাউন্ড অনুষ্ঠিত
অলিম্পিয়াডে মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের ২৩৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। ছবি: স্টার

শরীয়তপুরে ডেইলি স্টার নিউজপেপার অলিম্পিয়াড সিজন-৩ এর আঞ্চলিক সিলেকশন রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভেদেরগঞ্জ উপজেলার জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার সকাল ৮ থেকে অলিম্পিয়াডের কার্যক্রম শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হয়। নিউজপেপার অলিম্পিয়াডের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি লাব্বী আহসান দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, তরুণদের পত্রিকা পাঠের উদ্বুদ্ধ করার জন্য এবং বেশি বেশি ইংরেজি পত্রিকা পাঠে উৎসাহিত করার জন্য এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন। দ্য ডেইলি স্টার দেশের ১৮টি অঞ্চলে এই আয়োজন চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের অলিম্পিয়াডে মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের ২৩৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

লাব্বী আহসান বলেন, অলিম্পিয়াডে ৫টি বিভাগে বিভিন্ন বয়সী মানুষ অংশ নেন। ক- বিভাগে (তৃতীয়-পঞ্চম শ্রেণি) ৩৪ জন, খ- বিভাগে (ষষ্ঠ -অষ্টম) ৭০ জন, গ-বিভাগে (নবম-দশম) ১৮০ জন, ঘ-বিভাগে (একাদশ- দ্বাদশ) ১০ জন এবং ঙ-বিভাগে (বিশ্ববিদ্যালয় ও তদূর্ধ্ব) ৬৪ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্য থেকে আমরা ৫০ জনকে বাছাই করে তাদের ফলাফল অনলাইনে জানিয়ে দেব। আগামী ২০ মার্চ ঢাকায় এই অলিম্পিয়াডের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এই ৫০ জন প্রতিযোগী অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবেন।

নিউজপেপার অলিম্পিয়াডের বিষয়ে জানতে চাইলে জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সনেট কুমার সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রতিটি মানুষকে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা জানলে হবে না, বিশ্বকেও জানতে হবে। সারা বিশ্বকে জানার জন্য উত্তম উপায় হচ্ছে নিউজপেপার পড়া। আর ডেইলি স্টার হচ্ছে বেস্ট অপশন। যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণ মানুষকে কাজের উৎসাহ দেয়। এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক অলিম্পিয়াড প্রোগ্রামের আয়োজন যদি প্রতিবছর করা হয় তাহলে মানুষের ইংরেজি পত্রিকা পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।'

নিউজপেপার অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারিয়া মালাইকা ডেইলি স্টার কে বলেন, 'পড়াশুনার চাপে আমাদের ইংরেজি পত্রিকা পড়া হয় না। এই অলিম্পিয়াড অংশগ্রহণের জন্য আমাদের বেশ কয়েকটি ইংরেজি পত্রিকা পড়তে হয়েছে। যার কারণে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। বিশেষ করে ডেইলি স্টার নিউজপেপার পড়তে গিয়ে নতুন নতুন ইংরেজি শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। ডেইলি স্টারকে অনুরোধ করব প্রতিবছর যেন এই ধরনের অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

10h ago