যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান এরদোয়ানের

এরদোয়ান
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। রয়টার্স ফাইল ফটো

গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

আজ রোববার তিনি এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'ওয়াশিংটন গাজাকে ফিলিস্তিনের ভূমি হিসেবে মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কোনো চুক্তি হবে না।'

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, এরদোয়ান গতকাল শনিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আরব ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের একটি শীর্ষ সম্মেলন থেকে ফিরেছেন। সেখানে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে।

এরদোয়ান শুক্রবার জার্মানি সফর করবেন। সামনে মিশর ভ্রমণের এবং ইরানের প্রেসিডেন্টকে তুরস্কে স্বাগত জানানোর কথা রয়েছে তার।

রিয়াদ থেকে ফিরতি ফ্লাইটে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের মিশর ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত এবং যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দেওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইসরায়েলের ওপর তার চাপ বাড়ানো, পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ানো। যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক।'

 'এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে দেশটিকে যুক্ত করতে হবে তা হলো যুক্তরাষ্ট্র। তাদের প্রভাব রয়েছে ইসরায়েলের ওপর', বলেন তিনি।

সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আঙ্কারা সফর করেছেন।

সামনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে না দিলেও এরদোয়ান বলেন, তিনি এখন বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানাবেন না।

এরদোয়ান বলেন, 'ব্লিঙ্কেন এইমাত্র এখানে (তুরস্কে) এসেছেন। আমার ধারণা এখন বাইডেন আমাদের আমাদের আমন্ত্রণ জানাবেন। আমার এখন বাইডেনকে ডাকা ঠিক হবে না।'

যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই গাজাকে ফিলিস্তিনি ভূমি হিসেবে মেনে নিতে হবে উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন, 'বাইডেন যদি সংঘাতের ক্ষেত্রে গাজাকে ফিলিস্তিনি জনগণের ভূমির পরিবর্তে দখলদার বসতি স্থাপনকারীদের বা ইসরায়েলের ভূমি হিসেবে দেখেন তাহলে আমরা তার সঙ্গে একমত হতে পারি না।'

রোববার তুর্কি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত আরেকটি বক্তব্যে এরদোয়ানকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

তিনি বলেন, 'নেতানিয়াহু, এখন আপনার ভাল সময়। কিন্তু আরও ভিন্ন ভিন্ন সময় আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। নেতানিয়াহু,আপনার জানা উচিত, আপনি চলে যাচ্ছেন।'

এরদোয়ান আগামী সপ্তাহে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে দেখা করবেন।

তুরস্ক ইইউ সদস্যপদ প্রার্থী। কিন্তু এরদোয়ান হামাসের পক্ষ নেওয়ায় এবং সেটি ইইউর অবস্থানের বিপরীত হওয়ায় কিছুটা অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

এই সপ্তাহে প্রকাশিত প্রার্থী দেশগুলোর অগ্রগতি বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে ইইউ বলেছে, হামাসের সমর্থনে তুরস্কের বক্তব্য ইইউর ধারার সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

ফ্রাইটে সাংবাদিকদের এরদোয়ান বলেন, 'ইউরোপীয় ইউনিয়ন হামাসের ব্যাপারে ইসরায়েলের মতো করেই ভাবে। আমি হামাসকে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে দেখছি, যারা ফিলিস্তিনের নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। আমি এটাকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেভাবে দেখে, সেভাবে দেখি না।'

সংঘাত নিরসনে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আহ্বান জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

11h ago