পদোন্নতির দাবিতে আইজিপির সঙ্গে দেখা করলেন ৭০ পুলিশ কর্মকর্তা

পুলিশ

পদোন্নতি না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে দেখা করেছেন ৩৫তম ও ৩৬তম বিসিএস ক্যাডারের প্রায় ৭০ পুলিশ কর্মকর্তা।

আজ বুধবার আইজিপির সঙ্গে এক ঘণ্টা বৈঠকের পর তারা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

সাধারণত বিসিএস ক্যাডাররা পুলিশে যোগদানের ৫ বছরের মধ্যে অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। 

আইজিপিকে কর্মকর্তারা জানান, ৩৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা গত ছয় বছর সাত মাস ধরে দায়িত্ব পালন করেও সহকারী পুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাননি।

ওই ব্যাচের একাধিক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে এ বৈঠকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা পদোন্নতি পাচ্ছি না, অথচ একই ব্যাচের অ্যাডমিন, ট্যাক্সের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই পদোন্নতি পেয়েছেন। এটা হতাশাজনক।'

কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন তাদের পদোন্নতির বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। সিনিয়র ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া শেষ হলেই এই ব্যাচ দুটির পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু করবেন তারা।

এসবি প্রধান মনিরুল ইসলামও বলেছেন যে, আগের ব্যাচের পদোন্নতি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে পরের ব্যাচের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রধান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা বিসিএস ক্যাডারদের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার ১৪০ জন পুলিশ সুপারকে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক এবং ১৭৭ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে পুলিশ সুপারের পদে পদোন্নতি দেয় সরকার।

আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে পুলিশের অন্তত ৬৪ কর্মকর্তা ডিআইজি এবং ১০ জন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন বলে জানা গেছে। 

কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের আগে সরকার গত কয়েক মাসে এই সুপারনিউমারারি পদগুলো তৈরি করেছে।
 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

6h ago