কেসিসির ১০৮২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার বাজেট

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ১০৮২ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে এ বাজেট ঘোষণা করেন কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। 

বাজেটের রাজস্ব ব্যয় ১৯৬ কোটি ৫২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা এবং সরকারি বরাদ্দ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে উন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩৬ কোটি ৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। নিজস্ব আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা, সরকার ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিশ্রুতি এবং জনগণের প্রত্যাশার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জাতীয় এডিপিতে কেসিসির ৩টি প্রকল্পে ৪৯৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা চলতি অর্থ বছরে পাওয়া যাবে। এই তিনটি প্রকল্প হচ্ছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন, খুলনা মহানগরীতে ডেনিস ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন।

এ ছাড়া প্রস্তাবিত জাতীয় এডিপিভুক্ত ১৫শ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা সিটি করপোরেশন ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

বাজেট ঘোষণায় কেসিসি মেয়র বলেন, 'কোনো প্রতিষ্ঠানের বাজেট শুধু আয়-ব্যয়ের খতিয়ান নয়। এর মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ভাবনা প্রতিফলিত হয়। খুলনা সিটি করপোরেশন জন-প্রতিনিধিদের পরিচালিত একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচনী ইস্তেহারে আমরা যে প্রতিশ্রুতি নগরবাসীকে দিয়েছিলাম, এ বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবানের মধ্যদিয়ে তা বাস্তবে রূপ দেয়ার প্রচেষ্টা করছি।'

তিনি আরও বলেন, '২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০৮২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার টাকা।  বিগত অর্থবছরে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৬১ কোটি ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা।সংশোধিত বাজেটে এর আকার দাঁড়িয়েছে ৬৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৮১%।

বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, 'এই বাজেটে রাজস্ব তহবিলের ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯২ কোটি ১১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে দাঁড়িয়েছে ২৮২ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। নিজস্ব তহবিলে অর্জনের হার ১৪৭%। উন্নয়ন তহবিলে তথা সরকারি অনুদান ও দাতা সংস্থার বিশেষ প্রকল্পে বিগত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কিন্তু আমরা পেয়েছি ৪১৪ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে অর্জনের হার ৬২%।'

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

10m ago