রূপগঞ্জে গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গতকাল শুক্রবার একটি বাসায় গ্যাস লাইন থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি বাসায় গ্যাস লাইন থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আখাউবো বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷ রূপগঞ্জের ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দগ্ধরা হলেন-- হাসন বানু (৫৫), তার স্বামী আলী আহমেদ (৬৫), ছেলে ওমর ফারুক (১৮), মেয়ে সাহেরা বেগম (২৪) ও ভাই সোনাউদ্দিন (৪৫)।

হাসপাতালে হাসুন বানুর ভাতিজা মো. নূরে আলম জানান, রূপগঞ্জের ওই বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন তারা। হাসুন বানু গৃহিণী, তার স্বামী ও ভাই গাউছিয়া বাজারে দোকান করেন। এছাড়া মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী এবং ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

তিনি আরও জানান, বাসাটিতে লাইনে তেমন গ্যাসে থাকে না। সেজন্য রান্নার কাজে গ্যাসের চাপ বাড়াতে ২ সপ্তাহ আগে একটি যন্ত্র লাগিয়েছেন। রাতে তারা যখন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ওই গ্যাস লাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে তাদের ধারণা।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, হাসন বানুর শরীরের ৪৬ শতাংশ, সোনা উদ্দিনের ৯৪ শতাংশ, ওমর ফারুকের ১৫ শতাংশ, সাহেরা বেগমের ৩০ শতাংশ এবং আলী আহমেদের ৫৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে৷

ওমর ফারুক ছাড়া বাকি চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান ডা. তরিকুল৷

পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে জানান, তিনতলা ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন পরিবারটি৷ এলাকায় তিতাস গ্যাসের চাপ খুব কম থাকায় মাসখানেক হয়েছে ভবনটিতে রাইজার-জাতীয় একটি যন্ত্র বসানো হয়েছে৷ গ্যাসের চাপ বাড়াতে এ যন্ত্র বসানো হয়েছে বলে জানান ভবনটির বাসিন্দারা৷

'গ্যাস লাইনের কোথাও লিকেজ ছিল এবং তা থেকে ঘরে গ্যাস জমে বিস্ফোরণে পরিবারটির পাঁচ জন সদস্য দগ্ধ হন৷ পরিবারের আরেক সদস্য বাসার বাইরে থাকায় তিনি দগ্ধ হওয়া থেকে রক্ষা পান,' বলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা৷

Comments

The Daily Star  | English

13 former BDR members walk out of jail after 16 years

Family members expressed overwhelming joy at the release, reuniting with their loved ones

23m ago