মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে শাদাবকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় পাকিস্তান
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা এখনও টিকে আছে পাকিস্তানের। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে হারলেই বিদায়ের ঘণ্টা বেজে যেতে পারে তাদের। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়েও শাদাব খানকে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছে তারা। প্রাথমিক ফিটনেস টেস্টে পাস করলেও তার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকছে দলটি।
আগামীকাল শনিবার বেঙ্গালুরুতে কিউইদের মুখোমুখি হবে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায়। সাত ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া পাকিস্তানের অবস্থান বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার পাঁচে। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে থাকা নিউজিল্যান্ডও নেই স্বস্তিতে। টানা তিন হারের তেতো স্বাদ পাওয়া দলটিও খুব করে চাইবে জয় তুলে নিতে।
গত ২৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিলেন শাদাব। তার মাথা বাজেভাবে আঘাত করেছিল মাটিতে। এতে আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। তার কনকাশন বদলি হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলেন উসামা মীর। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলতে পারেননি শাদাব। তার জায়গায় একাদশেই ঢুকে পড়েন লেগ স্পিনার মীর।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এই নিয়ে তিনবার কনকাশন হয়েছে ২৫ বছর বয়সী শাদাবের। তাই তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজী নয় পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও শুক্রবার তিনি অনুশীলন করেছেন, তার মাঠে ফেরার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। গণমাধ্যমের কাছে টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার বলেছেন, 'সবশেষ আপডেট হলো, শাদাব আজ প্রাথমিক ফিটনেস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। মেডিকেল প্রটোকল অনুসারে এটা তাকে করতেই হতো। সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।'
তিনি যোগ করেছেন, 'কিন্তু আমরা এখনও তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো কোনো অবস্থানে নেই। কনকাশন খুবই গুরুতর একটি চোট এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদেরকে শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে।'
চলতি আসরে পাঁচ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ২৯.২৫ গড়ে ১১৭ রান করেছেন শাদাব। তবে বল হাতে একদমই সুবিধা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৯০ গড়ে তার শিকার স্রেফ ২ উইকেট।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ লড়াইয়ে জিতে টানা চার ম্যাচে হারের ধারার ছেদ টানে পাকিস্তান। ওই রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড বড় ব্যবধানে হারায় সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে ফিরে এসেছেন বাবর আজমরা।
Comments