ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ৬ প্রধানমন্ত্রীর

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ছয় প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, টনি অ্যাবট, ম্যালকম টার্নবুল, স্কট মরিসন, কেভিন রুড এবং জুলিয়া গিলার্ড। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ছয় প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, টনি অ্যাবট, ম্যালকম টার্নবুল, স্কট মরিসন, কেভিন রুড এবং জুলিয়া গিলার্ড এক খোলা চিঠিতে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো ওই চিঠিতে তারা বলেন, ইসরায়েলকে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে অনুরোধ করছি এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি। চিঠিতে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের কাছে দ্রুত সাহায্য পৌঁছাতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

তারা জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অস্ট্রেলিয়ানদের স্থায়ী সমর্থন পুনরায় নিশ্চিত করছি।

ছয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদি ও ফিলিস্তিনি উভয় সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকে এখানে বিভাজন সৃষ্টি করতে দেওয়ার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা বলেন, আমরা অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি এবং ফিলিস্তিনি উভয় সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছি। 

তারা বলেন, আমরা এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ান ইহুদিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং আমরা অস্ট্রেলিয়ান ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের পাশে আছি, যাদের পরিবার এই ভয়ানক সংঘাতে মারা যাচ্ছে এবং কষ্ট পাচ্ছে। তারাও আমাদের ভালোবাসা এবং সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।

আমাদের বহু-সাংস্কৃতিক জাতির সাফল্য অস্ট্রেলিয়ান মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা আমরা সবাই শেয়ার করি এবং আমাদের সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের বৈচিত্র্যের জন্য আমরা সবাইকে সম্মান দেখাই বলেও উল্লেখ করেন তারা। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা বলেছেন যে, আমাদের উচিত বিদেশি বিরোধগুলো অস্ট্রেলিয়ানদের একে অপরের বিরুদ্ধে পরিণত করতে না দেওয়া।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, প্রতিটি বেসামরিক জীবন মূল্যবান, তা সে ইসরায়েলি বা ফিলিস্তিনি যেই হোক না কেন। প্রতিটি নিরপরাধ প্রাণহানি একটি ট্র্যাজেডি।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles; properties vandalised

3h ago