জবির বিবাহিত-অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়ার বিজ্ঞপ্তি হাইকোর্টে স্থগিত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একমাত্র আবাসিক হলে থাকা বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে দেওয়া বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বরে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ দীপিকা রানী সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'আবাসিক ছাত্রীদের যাদের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, তারা অতি দ্রুত হল ত্যাগ করবে। কোনো মানোন্নয়ন (মাস্টার্স) পরীক্ষার্থী, এমফিল ছাত্রী হলে থাকতে পারবে না। এ ছাড়া, আবাসিকতা লাভ ও বসবাসের শর্তাবলি এবং আচরণ ও শৃঙ্খলা–সংক্রান্ত বিধিমালা ২০২১–এর ১৭ নম্বর ধারা মোতাবেক বিবাহিত ও গর্ভবতী ছাত্রীরা আবাসিক সিট (আসন) পাবে না। বিধায় তারা অতি দ্রুত হলের সিট ছেড়ে দেবে। অন্যথায় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্লাস্ট, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, নারীপক্ষ, সেরাক বাংলাদেশ ও ব্র্যাক গতকাল সোমবার ওই রিটটি করে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা ও আয়েশা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষার্থীদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকা থেকে বাদ দেওয়া–সংক্রান্ত ওই বিজ্ঞপ্তি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'একইসঙ্গে আদালত শিক্ষাসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের আসন বণ্টন, সেখানে শিক্ষার্থীদের থাকা এবং তাদের শৃঙ্খলা, আচার-আচরণ, স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং বিধিমালায় বৈষম্যমূলক বিধান রয়েছে কি না তা তদন্ত করে আগামী ১ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।'
Comments