ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ

নারায়ণগঞ্জে রাতভর অভিযানে বিএনপির ২০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, মহাসড়কে তল্লাশি

ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোর অন্তত ৭টি স্থানে তল্লাশিচৌকি স্থাপন করা হয়েছে। ছবি: স্টার

রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে রাতভর নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।

এসব অভিযান নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ বলে দাবি করেছে পুলিশ। সমাবেশের আগে নাশকতার অভিযোগে ও বিস্ফোরক আইনে বিভিন্ন থানায় করা পুরোনো মামলাগুলোতে অন্তত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা বলেন, 'পুরোনো বিস্ফোরক আইন ও নাশকতার অভিযোগে থাকা মামলাগুলোর ফলোআপ নিতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ১৪ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন—রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হোসেন মুন্সি, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মিয়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য মো. হারুন, যুবদল কর্মী কাউসার আহমেদ রানা, মো. মেহেদী, মো. জাহিদ, সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হাসান, আড়াইহাজার সাতগ্রাম ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মিয়া, একই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ফরহাদ খন্দকার, রূপগঞ্জের চনপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু, ফতুল্লার বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ হারুন, নাসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম।

বিএনপির সমাবেশে যেতে বাধা দেওয়ার জন্যই রাতভর নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন। তিনি বলেন, 'প্রতিবারই কোনো কর্মসূচির আগে পুলিশ এই কাজ করে। বিরোধীমত দমনে সরকার পুলিশকে ব্যবহার করছে।'

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোর অন্তত ৭টি স্থানে তল্লাশিচৌকি স্থাপন করা হয়েছে। ভোর থেকে এসব স্থানে ঢাকামুখী যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে। তবে এসব স্থান থেকে কাউকে গ্রেপ্তার বা আটকের খবর পাওয়া যায়নি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক মোড়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বসানো তল্লাশিচৌকিতে থামানো হয় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস। এই বাসের যাত্রী মো. মাসুদ বলেন, 'তারা কক্সবাজার থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছেন। ঢাকায় ঢোকার সময় মহাসড়কে অন্তত ৩টি স্থানে বাস থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। যাত্রীদের ব্যাগও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।'

'আমরা কে কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি এবং বাস কোথা থেকে এসেছে এসব জানতে চায়। তবে জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহজনক কিছু না পাওয়াতে আবার ছেড়েও দেওয়া হয়,' বলেন তিনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, 'কোনো ব্যক্তি নাশকতার উদ্দেশে গাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করছে কি না সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের এই তল্লাশিচৌকি থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Import-export activities halted at Ctg Custom House amid NBR officials' shutdown

The suspension has caused immense sufferings to service seekers, while apparel exporters fear significant financial losses due to shipment delays

31m ago