আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

গুরবাজ-ইকরামের ব্যাটে আফগানদের লড়াকু পুঁজি

রহমানুউল্লাহ গুরবাজের পর ইকরাম আলী খিলের ফিফটিতে যে পুঁজি গড়েছে আফগানিস্তান, তা বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ।

গুরবাজ-ইকরামের ব্যাটে আফগানদের লড়াকু পুঁজি

ইংল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান

রহমানুউল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে আফগানিস্তান বড় কিছুরই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। ঝড়ো শুরুর পর ওপেনিং জুটি থেকেই পেয়ে গিয়েছিল তারা শতরান। কিন্ত এরপর মিডল অর্ডারের ধসে পড়া তাদের ফেলে দিয়েছিল বিপদে। লিভিংস্টোন-রশিদদের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়া আফগানিস্তানকে টেনে তুলে ইকরাম আলী খিলের ফিফটি। ২৮৪ রানের যে পুঁজি গড়েছেন, তা বিশ্বকাপে তাদের নিজেদের সর্বোচ্চ।

দিল্লিতে টস জিতে বোলিং নিয়ে ইংল্যান্ডের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম বলেই ক্রিস ওকস দিয়ে দেন ওয়াইড বাইয়ে পাঁচ রান। ছন্দে ছিলেন না এই পেসার। গুরবাজ ইংলিশ বোলারদের উপর চড়াও হয়েছিলেন ভালোমতন। সামান্য বাইরে পেলেই কাটে চার, পুলে ছয় মেরেছেন। নিয়মিত বাউন্ডারি বের করে ৬.৩ ওভারেই পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় আফগানিস্তান।

এক প্রান্তে রিস টপলি যদিও ইকোনমিক্যাল বোলিং করে গেছেন। তার ৫ ওভারের স্পেলে রান এসেছে পাঁচের কম ইকোনমিতে। তবে অপর প্রান্তে ওকসের পর স্যাম কারানও এসে রান বিলিয়েছেন, দুজনে মিলে ৫ ওভারেই দিয়ে ফেলেন ৫৭ রান। পাওয়ারপ্লেতেই তাই আফগানিস্তান দশ ওভারে এনে ফেলে ৭৯ রান, বিশ্বকাপে যা তাদের সর্বোচ্চ।

বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে আগ্রাসী ভঙ্গিতেই খেলে যাচ্ছিলেন গুরবাজ। ৩৩ বলে পেয়ে যান ফিফটি। ১৪তম ওভারে দলীয় একশ রানও ছাড়িয়ে যান তারা। ইব্রাহিম জাদরান পাওয়ারপ্লের পর রান বের করতে পারছিলেন না, শেষমেশ আদিল রশিদকে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ২৮ রানেই। রহমত শাহকে এরপর দুর্দান্ত এক ফ্লাইটেড ডেলিভারীতে স্টাম্পিংয়ে শিকার করেন আদিল রশিদ।

৩ রানে রহমত ফিরতে না ফিরতেই আরেকটি উইকেট খুইয়ে বসে আফগানরা। সেটি আবার গুরবাজেরই! তাও রানআউটে। শহিদি-গুরবাজ ঝুঁকি নিয়ে রান নিতে গেলে থেমে যায় গুরবাজের বড়কিছুর সম্ভাবনা। ছন্দে থাকা গুরবাজকে থেমে যেতে হয় ৫৭ বলে ৮০ রান করে। ১১ রানে ৩ উইকেট হারানো আফগানিস্তানকে উদ্ধারের কাজ বর্তায় শহিদি-ওমরজাই জুটির উপর। তবে ওমরজাই তার ইনিংস ১৯ রানের বড় করতে পারেননি। শহিদিও আউট হয়ে যান ৩৬ বলে ১৪ রানে।

মার্ক উড এসে মোহাম্মদ নাবিকেও ফিরিয়ে দেন ৯ রানেই। কোন জুটিই ত্রিশ রানের বড় হচ্ছিল না। একপাশে ইকরাম আলী খিল যদিও খেলে যাচ্ছিলেন দেখেশুনে, তার সঙ্গ দিয়ে ২৩ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেন রশিদ। রশিদ-খিলের ৪৩ রানের জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর মুজিব তার ঝলক দেখান। ২১৬ রানে শেষ দশ ওভারে প্রবেশ করে প্রথম পাঁচ ওভারে আফগানরা আনতে পারে মোটে ২১ রান।

এরপর স্যাম কারানের এলোমেলো ওভারে দুটি চারের সাথে একটি ছয় মারেন মুজিব। ১৬ বলে ২৮ রানের ক্যামিও খেলে উডের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান মুজিব। ইকরাম ৬১ বলে ধীরগতির ফিফটি পূর্ণ করে শেষে ঝড় তুলতে পারেননি। নাজিবুল্লাহ জাদরানের জায়গায় সুযোগ পাওয়া ইকরামের সে ইনিংসেই যদিও আফগানরা শেষমেশ ২৮৪ রানের পুঁজি গড়তে পেরেছিল।

Comments

The Daily Star  | English

US lowers Bangladesh tariff to 35% from 37%

Failure to secure a more favourable bilateral agreement by Aug 1 deadline would be a significant blow to the country's export-oriented economy

7h ago