বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিল নিউজিল্যান্ড
ছোট পুঁজি নিয়ে শুরুটা যেমন করার তেমন ভাবেই করেছিল বাংলাদেশ। শুরুতে আতসাত বোলিং করেন বাংলাদেশের দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। তাতে তৃতীয় ওভারেই আসে সাফল্য। রাচিন রবীন্দ্রকে ফেরান শরিফুল। এরপর কনওয়েকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। গড়েন ৮০ রানের জুটি।
কনওয়েকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন সাকিব। বাংলাদেশ শেষ সাফল্য এই উইকেটই। এরপর ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন কিউই অধিনায়ক। গড়েন ১০৮ রানের আরও একটি জুটি। তবে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন উইলিয়ামসন। এরপর বাকি কাজ গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে শেষ করেন মিচেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৫/৯ (লিটন ০, তানজিদ ১৬, মিরাজ ৩০, শান্ত ৭, সাকিব ৪০, মুশফিক ৬৬, হৃদয় ১৩, মাহমুদউল্লাহ ৪১*, তাসকিন ১৭, মোস্তাফিজ ৪, শরিফুল ২*; বোল্ট ২/৪৫, হেনরি ২/৫৮, ফার্গুসন ৩/৪৯, স্যান্টনার ১/৩১, ফিলিপস ১/১৩, রবীন্দ্র ০/৩৭, মিচেল ০/১১)।
নিউজিল্যান্ড: ৪২.২ ওভারে ২৪৮/২ (কনওয়ে ৪৫, রাচিন ৯, উইলিয়ামসন ৭৮*, মিচেল ৮৯*, ফিলিপস ১৬*; মোস্তাফিজ ১/৩৬, শরিফুল ০/৪৩, তাসকিন ০/৫৬, সাকিব ১/৫৪, মিরাজ ০/৫৮)।
ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করলেন মিচেল
শরিফুল ইসলামের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের ইতি টানলেন ড্যারিল মিচেল। অধিনায়ক উইলিয়মসন চোট পেয়ে উঠে যাওয়ার পর গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটি গড়ে জয় নিশ্চিত করেন মিচেল। শেষ পর্যন্ত ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১০৩ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ১১ বলে ১৬ রান করেন ফিলিপস।
চোট পেয়ে উঠে গেলেন উইলিয়ামসন
চোট থেকে ফিরে বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিরেছিলেন কেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ডের জয়ের ভিতও গড়ে দেন এই ব্যাটার। তবে ফের চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রো হাতে লাগে উইলিয়ামসনের। এরপর দুই দফা প্রাথমিক চিকিৎসা চললেও মাঠে থাকতে পারেননি তিনি। ১০৭ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৭৮ রান করেন কিউই অধিনায়ক।
মিচেলের ফিফটি, জুটির সেঞ্চুরি
অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের পর পর ফিফটি তুলে নিলেন ড্যারিল মিচেলও। একই সঙ্গে পূরণ হয়েছে জুটির শতকও। তাতে জয়ের পথেই এগিয়ে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড।
সাকিবের ছক্কা দিয়ে শুরু করা মিচেল ফিফটিও পূরণ করেন সেই সাকিবের বলে ছক্কা মেরে। ৪৩ বলেই ছুঁয়েছেন নিজের অর্ধশতক। একই সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে শতরান।
উইলিয়ামসসন-মিচেল জুটির ফিফটি
ডেভন কনওয়েকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছিল বাংলাদেশ। এরপর ডেরিল মিচেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন উইলিয়ামসন। এরমধ্যেই অর্ধশত রানের জুটি গড়েছেন তারা। ৫৪ বলে আসে তৃতীয় উইকেট জুটির ফিফটি।
ইনজুরি থেকে ফিরেই উইলিয়ায়মসনের ফিফটি
চোট কাটিয়ে মাঝে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও এদিনই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। মাঝে একটি জীবন পেলেও বেশ সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এরমধ্যেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৮১ বলে ৫টি চারের সাহায্যে নিজের অর্ধশত পূরণ করেন উইলিয়ামসন।
কনওয়েকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন সাকিব
অবশেষে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙতে পেরেছে বাংলাদেশ। আঘাত হেনেছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ডেভন কনওয়েকে ফেলেছেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। ভাঙে ১০৫ বল স্থায়ী ৮০ রানের জুটি।
সাকিবের বলে রিভার্স সুইপ করতে গেলে লাইন মিস করলে প্যাডে লাগে কনওয়ের। রিভিউ নিয়েছিলেন এই ওপেনার। তবে লাভ হয়নি। ৫৯ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৪৫ রান করেন তিনি।
এবার উইলিয়ামসনের ক্যাচ ছাড়লেন তাসকিন
কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ফেরানোর বড় সুযোগ হাতছাড়া করলেন তাসকিন আহমেদ। ব্যক্তিগত ২৭ রানে বেঁচে গেলেন কিউই অধিনায়ক। সাকিবের বলে মিড উইকেটে হাওয়ায় ভাসানো বলে ঝাঁপিয়ে হাতে লাগালেও তালুবন্দি করতে পারেননি তাসকিন। কনওয়ের সঙ্গে এরই মধ্যে ৮০ রানের জুটি উইলিয়ামসন।
কনওয়ে ও উইলিয়ামসনের জুটির পঞ্চাশ
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন ডেভন কনওয়ে ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। শুরু ধাক্কা সামলে নিউজিল্যান্ডকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এই দুই ব্যাটার। এরমধ্যেই পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন তারা। ৫৬ বলে দ্বিতীয় উইকেট জুটির ফিফটি।
১৪ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৬৫ রান নিউজিল্যান্ডের। কনওয়ে ৩০ ও উইলিয়ামসন ১৯ রানে ব্যাট করছেন।
কনওয়েকে ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া বাংলাদেশের
আরও একটি উইকেট প্রায় পেয়ে যাচ্ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। অল্পের জন্য ডেভন কনওয়ের ক্যাচ নিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। ডাইভ দিয়ে হাত ছোঁয়ালেও তালুবন্দি করতে পারেননি। এ সময় ৪ রানে ছিলেন কনওয়ে।
কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত মোস্তাফিজের
বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভেঙেছেন তিনি। তার কিছুটা এক্সট্রা বাউন্সে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। ১৩ বলে ২টি চারের সাহায্যে ৯ রান করেছেন রাচিন।
মাহমুদউল্লাহর দৃঢ়তায় বাংলাদেশের ২৪৫ রানের পুঁজি
এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৫ রান করল বাংলাদেশ।
আবারও টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর পঞ্চম উইকেটে ৯৬ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। অধিনায়ক সাকিব ৫১ বলে ৪০ রান করে উইকেট বিলিয়ে ফেরেন। মুশফিক নিচু হওয়া বলে বোল্ড হন ফিফটি করে। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৫ বলে ৬৬ রান। আটে নেমে ৪৯ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। একাদশে ফেরা ডানহাতি ব্যাটারের কল্যাণে মূলত বাংলাদেশ পায় আড়াইশর কাছাকাছি রানের পুঁজি।
৩৮তম ওভারে ১৮০ রানে ৭ উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। এরপর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ দেখান দৃঢ়তা। যদিও ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ ঘটাতে প্রায়ই ভুগছিলেন তিনি। টেল এন্ডারদের নিয়ে তিনি শেষদিকে যোগ করেন ৬৫ রান। ফলে অলআউটের শঙ্কামুক্ত হয় দল।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ডানহাতি পেসার লোকি ফার্গুসন ৪৯ রানে নেন ৩ উইকেট। বাঁহাতি পেসে ট্রেন্ট বোল্ট ২ উইকেট শিকার করেন ৪৫ রানের বিনিময়ে। সমান সংখ্যক উইকেট নিতে আরেক ডানহাতি পেসার ম্যাট হেনরির খরচা ৫৮ রান। বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ছিলেন আঁটসাঁট। ১০ ওভারে ৩১ রানে শিকার করেন ১ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৫/৯ (লিটন ০, তানজিদ ১৬, মিরাজ ৩০, শান্ত ৭, সাকিব ৪০, মুশফিক ৬৬, হৃদয় ১৩, মাহমুদউল্লাহ ৪১*, তাসকিন ১৭, মোস্তাফিজ ৪, শরিফুল ২*; বোল্ট ২/৪৫, হেনরি ২/৫৮, ফার্গুসন ৩/৪৯, স্যান্টনার ১/৩১, ফিলিপস ১/১৩, রবীন্দ্র ০/৩৭, মিচেল ০/১১)।
মোস্তাফিজকে আউট করলেন হেনরি
পরিস্থিতির দাবি ছিল বড় শট। সেটা মেটাতে ছক্কার চেষ্টায় আউট হলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাট হেনরির বলে অনেক উঁচুতে ওঠা ক্যাচ নিলেন উইকেটরক্ষক টম ল্যাথাম।
১০ বলে মোস্তাফিজের রান ৪। ৪৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৫ রান। ক্রিজে ৪০ বলে ২৩ রানে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গী হলেন শেষ ব্যাটার শরিফুল ইসলাম।
শেষ বলে স্যান্টনারের উইকেট
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পুরস্কার শেষবেলায় পেলেন মিচেল স্যান্টনার। ১০ ওভারের কোটার শেষ ডেলিভারিতে উইকেটের স্বাদ নিলেন বাঁহাতি স্পিনার। তাকে সুইপ করার চেষ্টায় ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে ক্যাচ দিলেন তাসকিন আহমেদ। ১৯ বলে ২ ছয়ে ১৭ রানে তার বিদায়ে ভাঙল ৪৩ বলে ৩৪ রানের জুটি।
৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২১৪ রান। পিচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলছেন ৩১ বলে ১৮ রানে। তার সঙ্গী হলেন মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশের দুইশ
৪২তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দুইশ স্পর্শ করল। দলের সংগ্রহ শতরান ছুঁয়েছিল ২১তম ওভারে। দলের সংগ্রহ যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ।
৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ২০৪ রান। ক্রিজে আছেন মাহমুদউল্লাহ ২৬ বলে ১৬ ও তাসকিন ১২ বলে ৯ রানে।
অলআউটের শঙ্কায় বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে চলতি বছর বাংলাদেশ যে ২১ বার ব্যাটিং করেছে, এর মধ্যে অলআউট হয়ে গেছে ১১ ইনিংসেই। অর্থাৎ শতকরা ৫২ ভাগের বেশি ওয়ানডেতে বাংলাদেশ খেলতেই পারেনি পুরো ওভার!
বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হৃদয়
ট্রেন্ট বোল্টের নাকল বলে কুপোকাত হলেন তাওহিদ হৃদয়। শর্ট এক্সট্রা কভারে সহজ ক্যাচ নিলেন মিচেল স্যান্টনার। ২৫ বলে কোনো চার-ছয় ছাড়া হৃদয়ের রান ১৩।
ম্যাচে বাঁহাতি পেসার বোল্টের এটি দ্বিতীয় শিকার। একইসঙ্গে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট পূর্ণ হয়ে গেল তারা। সেজন্য তার লাগল মাত্র ১০৭ ম্যাচ। ওয়ানডেতে তার চেয়ে কম ম্যাচে দুইশ উইকেট শিকারের কীর্তি আছে কেবল অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক (১০২ ম্যাচ) ও পাকিস্তানের সাকলাইন মুশতাকের (১০৪ ম্যাচ)।
৩৮ ওভার শেষে টাইগারদের স্কোর ১৮০/৭। আরও একবার বিবর্ণ ব্যাটিংয়ে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে তারা। ক্রিজে ৭ বলে ৩ রান করা মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আছেন তাসকিন আহমেদ।
মুশফিক হলেন বোল্ড
ম্যাট হেনরির স্লোয়ারে বোল্ড হলেন লড়াই করতে থাকা মুশফিকুর রহিম। শর্ট লেংথের ডেলিভারিটি বেশ নিচু হয়ে উপড়ে ফেলল স্টাম্প। বলের লাইনে যেতে পারলেন না তিনি। এতে থামল তার ৬৬ রানের ইনিংস। ৭৫ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ২ ছক্কা।
৩৬তম ওভারে ইতি ঘটল মুশফিকের প্রতিরোধের। ওই ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৫ রান। ক্রিজে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
উইকেট ছুঁড়ে ফিরলেন সাকিব
নিউজিল্যান্ডকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দিলেন লোকি ফার্গুসন। এই পেসার ধরলেন তৃতীয় শিকার। বাংলাদেশ হারাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। উইকেট ছুঁড়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি।
শর্ট বল করার পরিকল্পনা থেকে সরে দাঁড়ালেন না ফার্গুসন। আগের বলেই টপ এজে ছক্কা পেয়ে গিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু এর পরেই শেষ। আবারও পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে যায় তার। আকাশে উঠে যাওয়া বল বেশ খানিকটা দৌড়ে গ্লাভসে জমান উইকেটরক্ষক টম ল্যাথাম।
৫১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় সাকিব করেন ৪০ রান। ব্যাটিংয়ের সময় ক্র্যাম্পের জন্য ভুগতে হচ্ছিল তাকে। তার আউটে থামে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১০৮ বলে ৯৬ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫২ রান। ক্রিজে আছেন মুশফিক ৫৯ বলে ৫৪ রানে। তাকে সঙ্গ দিতে মাঠে গেছেন তাওহিদ হৃদয়।
দারুণ ব্যাটিংয়ে মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি
দারুণ ব্যাটিংয়ে এবারের বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন মুশফিকুর রহিম। ক্রিজে যাওয়ার পর থেকেই চলছে তার ব্যাট। দ্রুতগতিতে রান আনছেন তিনি। তার সঙ্গে সাকিব আল হাসানের জুটিতে ধীরে ধীরে চাপের কালো মেঘ সরে উঁকি দিচ্ছে সম্ভাবনার নতুন সূর্য।
গ্লেন ফিলিপসকে একই ওভারে ছক্কা ও চার মারার পর লোকি ফার্গুসনকেও ছক্কায় ওড়ান মুশফিক। এরপর সেই ফার্গুসনের বলেই কাট করে চার মেরে ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছালেন তিনি। ৫২ বলে ফিফটি করতে ৫টি চার ও ২টি ছয় এসেছে তার ব্যাট থেকে।
২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৩/৪। মুশফিক ৫৫ বলে ৫২ ও সাকিব ৪৪ বলে ২৩ রানে ক্রিজে আছেন।
সাকিব-মুশফিক জুটির ফিফটি
টপ অর্ডারের নাজেহাল চিত্র সামলে এগোচ্ছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দলকে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি দেওয়ার চাহিদা রয়েছে দুজনের সামনে। ৫৯ বলে তাদের জুটির রান ছুঁয়েছে পঞ্চাশ। সেখানে অগ্রণী ভূমিকায় আছেন ছন্দে থাকা মুশফিক।
২২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৬ রান। পাঁচে নামা সাকিব ২৯ বলে ১৬ রানে খেলছেন। পাঁচে নামা মুশফিকের রান ৩৩ বলে ৩৩ রান।
বাংলাদেশের একশ
দ্রুত ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে বিপদ থেকে টেনে তোলার চেষ্টায় আছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুই অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটারের কল্যাণে ২১ ওভারে বাংলাদেশ স্পর্শ করেছে একশ। সেজন্য তাদের দরকার পড়েছে ১২৮ বল।
৩০ বলে ২৮ রানে খেলছেন মুশফিক। গ্লেন ফিলিপসকে একই ওভারে ছক্কা ও চার মারা তারকা খেলছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। আরেক প্রান্তে সাকিব অবশ্য সময় নিয়ে রান তোলায় মনোযোগী আছেন। ২৬ বলে তার সংগ্রহ ১৫ রান। মুখোমুখি হওয়ার প্রথম ২৩ বলে তার রান ছিল ৬।
আরও একবার বাংলাদেশের টপ অর্ডারের বেহাল দশা
আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নবম ওভারে ৪৯ রানে ৪ উইকেট পড়েছিল বাংলাদেশের। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রয়োদশ ওভারে ৫৬ রানে নেই ৪ উইকেট। আরও একবার টপ অর্ডারের বেহাল দশায় বিপদে দল।
টিকতে পারলেন না শান্ত
নাজমুল হোসেন শান্ত পারলেন না ত্রাতা হতে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হওয়া ব্যাটার এবার বিদায় নিলেন ৮ বলে ৭ রানে। এতে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই উইকেট পেলেন গ্লেন ফিলিপস। মূলত ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত এই অলরাউন্ডারের অফ স্পিনে বাজিমাত করার খ্যাতি আছে। সেকারণে তাকে বলা হয় 'গোল্ডেন আর্ম'।
বাড়তি বাউন্সই শান্তর জন্য বিপদ ডেকে আনল। তাছাড়া, একটু আগেভাগে শট খেলে ফেলেছিলেন তিনি। অনায়াসে ক্যাচ লুফে নেন ডেভন কনওয়ে।
চার বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের ওপর চাপ আরও জেঁকে বসল। ১২.১ ওভারের মধ্যে ব্যাটিং লাইনআপের প্রথম চার ব্যাটার ফিরলেন সাজঘরে। ১৩ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫৭ রান। ক্রিজে আছেন দুই অভিজ্ঞ তারকা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুর্দশা এড়াতে তাদের দিকে তাকিয়ে দল।
থিতু হয়ে ফিরলেন মিরাজ
আরও একবার তিনে নামা মেহেদী হাসান মিরাজকে দেখাচ্ছিল সাবলীল। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না। শর্ট বলে পুল করার চেষ্টায় সীমানার কাছে ম্যাট হেনরির হাতে ধরা পড়লেন তিনি। ঠিক এমন পরিকল্পনাতেই হেনরিকে ফাইন লেগে রাখা হয়েছিল। লোকি ফার্গুসন পেলেন দ্বিতীয় শিকার। মিরাজ বিদায় নিলেন ৩০ রানে। ৪৬ বলের ইনিংসে ৪টি চার মারেন তিনি।
১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৫৬। ক্রিজে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশের পঞ্চাশ
একাদশ ওভারের পঞ্চম বলে পুল করে ডাবল নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে দলীয় বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলে। সেজন্য টাইগারদের লাগে ৬৬ বল।
পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশ ৪৬/২
প্রথম ১০ ওভারে ৪৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তবে সাজঘরে ফিরেছেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। উইকেটের দেখা পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের দুই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও লোকি ফার্গুসন।
২২ গজে মেহেদী হাসান মিরাজ আছেন ৪০ বলে ২৮ রানে। ৩ বল খেলে এখনও রানের খাতা খোলা হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তর। প্রতিরোধ গড়ে দলকে ভালো পুঁজির ভিত এনে দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে তাদের সামনে।
চেন্নাইয়ের মাঠে স্পিনারদের দাপট থাকে সাধারণত। তবে এই পিচটি তেমন স্পিনবান্ধব বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না। বরং পেসাররা শুরুতে সহায়তা পাচ্ছেন।
আবারও ব্যর্থ তানজিদ
বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যথাক্রমে ৫ ও ১ রানে আউট হয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। এদিনও ব্যর্থতার ধারা ভাঙতে ব্যর্থ হলেন তিনি। ফিরলেন ১৭ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ১৬ রান করে।
পেসার লোকি ফার্গুসনের ১৪৪ কিলোমিটার গতির ডেলিভারিটি ছিল ফুল লেংথের, প্যাডের সামনে। ফ্লিক করার চেষ্টায় শর্ট লেগে সহজ ক্যাচ তুললেন তানজিদ। তা লুফে নিতে কোনো বেগই পেতে হলো না ডেভন কনওয়ের।
তানজিদের বিদায়ে ভাঙল ৪৮ বলে ৪০ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। অর্থাৎ দুই ওপেনারকেই পাওয়ার প্লের ভেতরে হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। ৮ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪০ রান। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
মিরাজ-তানজিদের প্রতিরোধ
ইনিংসের প্রথম বলেই লিটন দাসকে হারানোর পর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন তানজিদ হাসান তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭ ওভার শেষে দুজন জুটিতে তুলেছেন ৩৭ রান। তানজিদ ১৬ আর মিরাজ ২০ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন।
জন্মদিনে লিটনের গোল্ডেন ডাক
ট্রেন্ট বোল্টের ইনিংসের একদম প্রথম বলটা ছিল লেগ স্টাম্পের উপর। লিটন দাস করতে গেলেন ফ্লিক। কিন্তু পার করতে পারলেন না সীমানা। ফাইন লেগে সহজেই তার ক্যাচ লুফে নেন ম্যাট হেনরি। জন্মদিনে লিটন পেলেন গোল্ডেন ডাক। শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
একাদশে একটি করে পরিবর্তন
দুই দলের একাদশে একটি করে পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ শেখ মেহেদী হাসানের পরিবর্তে ফিরিয়েছে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের প্রথম দুই ম্যাচে না খেলা কেইন উইলিয়ামসনকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন উইল ইয়াং।
বাংলাদেশ একাদশ:
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
নিউজিল্যান্ড একাদশ:
কেইন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লোকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, টম ল্যাথাম, ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টানা দুটি দুর্দান্ত জয়ে উড়ছে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে, আফগানিস্তানকে হারিয়ে শুভ সূচনা করলেও ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে আদর্শ অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচটি তাই তাদের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।
এমন পরিস্থিতিতে চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায় হেরেছে বাংলাদেশ। টস জিতে নিয়েছেন চোট কাটিয়ে একাদশে ফেরা নিউজিল্যান্ডের দলনেতা কেইন উইলিয়ামসন। তিনি ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত বেছে নিয়েছেন। অর্থাৎ সাকিব আল হাসানের দলকে আগে নামতে হবে ব্যাটিংয়ে।
ওয়ানডেতে দুই দলের মোট ৪১ বার দেখা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের ৩০ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ জিতেছে ১০ ম্যাচ। একটি লড়াইয়ে কোনো ফল আসেনি। বিশ্বকাপে পাঁচবারের সাক্ষাতে অবশ্য কিউইদের একচেটিয়া আধিপত্য। প্রতিবারই হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা।
Comments