সেতু ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগে বাগেরহাটের ১০ গ্রামের মানুষ

বাগেরহাট
সেতু ভেঙে পড়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় চার বছর আগে ভেঙে পড়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের দৌরা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি। চলাচলের আর কোনো উপায় না থাকায় বাঁশ ও সুপারি গাছ দিয়ে অস্থায়ীভাবে মেরামত করে চলাচল করতেন আশেপাশের ১০ গ্রামের মানুষ।

গত এক মাস ধরে ওই অস্থায়ী সেতুটিও ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ।

তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকি নিয়ে তাদের ছোট ছোট নৌকায় করে খাল পারাপার হতে হচ্ছে।

গত এক মাস ধরে অস্থায়ী সেতুটিও ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

চণ্ডীপুর গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানিয়া খাতুন দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, তাদের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

তানিয়া বলেন, 'কয়েকদিন আগে আমাদের এক সহপাঠী নৌকা থেকে পড়ে যায়, নৌকার মাঝি পরে তাকে উদ্ধার করেন।'

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় ২০ বছর আগে প্রত্যন্ত চণ্ডীপুর গ্রামে দৌরা খালের ওপর লোহার কাঠামো দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করে। 

স্থানীয়রা জানান, প্রায় চার বছর আগে বন্যায় লোহার সেতুটি আংশিকভাবে ভেঙে পড়ে। এর পর সেটি আর মেরামত করা হয়নি।

ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা কামাল জমাদ্দার ডেইলি স্টারকে জানান, গত মাসে সেতুটি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার পর থেকে আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কামাল আরও বলেন,'যাতায়াতের অন্য কোনো বিকল্প উপায় না থাকায় গ্রামবাসীদের খাল পারাপারে নৌকা ভাড়া করতে হচ্ছে।'

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জামাল শেখ জানান, বিষয়টি তিনি অনেক আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, তবে এখনো সেতুটি সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বাগেরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শরীফুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা মাটি পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ পরিচালনা করলেও অর্থের অভাবে চলতি অর্থবছর সেতুটি নির্মাণ করা যাচ্ছে না।

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles, vandalise property

1h ago