আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

স্যান্টনারের ৫ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের টানা দ্বিতীয় জয়

বড় পুঁজি গড়ে পথটা অবশ্য আগেই মসৃণ করে রেখেছিল তারা।

স্যান্টনারের ৫ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের টানা দ্বিতীয় জয়

ছবি: এএফপি

ব্যাট হাতে শেষদিকে ঝড় তুলে দলের সংগ্রহ তিনশ ছাড়িয়ে আরও উঁচুতে নিয়ে গেলেন মিচেল স্যান্টনার। এরপর বল হাতে দেখালেন ভেলকি। তার বাঁহাতি স্পিনের মায়াজালে বন্দি নেদারল্যান্ডস খুঁজে পেল না উপায়। আরেকটি দাপুটে পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল নিউজিল্যান্ড। বড় পুঁজি গড়ে পথটা অবশ্য আগেই মসৃণ করে রেখেছিল তারা।

সোমবার হায়দরাবাদে ৯৯ রানে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। ৭ উইকেটে ৩২২ রান তোলার পর ২১ বল বাকি থাকতে ডাচদের ২২৩ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। এর আগে ভারত বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছিল কিউইরা।

ছোট কিন্তু কার্যকরী একটি বিস্ফোরক ইনিংসের পর বোলিং নৈপুণ্য দেখান স্যান্টনার। ১০ ওভারে ৫৯ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এবারের বিশ্বকাপে কোনো বোলারের ৫ উইকেট পাওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ম্যাট হেনরি। তিনি ৪০ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় নামা ডাচদের প্রথম ধাক্কা দেন পেসার হেনরি। বিক্রমজিত সিংকে বোল্ড করে দেন তিনি। আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও'ডাউডকেও এগোতে দেননি স্যান্টনার। সেই থেকে শুরু হয় তার শিকার ধরা।

একপ্রান্ত আগলে ধরে খেলতে থাকেন কলিন অ্যাকারম্যান। বাস ডি লিডি ফেরার পর তেজা নিদামানুরুর সঙ্গে ৫০ ও অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়েন তিনি। ফিফটি করা অ্যাকারম্যানের প্রতিরোধও থামান স্যান্টনার। ৭৩ বলে ৫ চারে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

নিজের পরের দুই ওভারে স্যান্টনার পান আরও দুই উইকেট। এরপর ৪২তম ওভারে রায়ান ক্লেইনকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে তিনি দেখা পান পঞ্চম উইকেটের। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইফার নেন তিনি। শেষ দুটি উইকেট নিয়ে নেদারল্যান্ডসের ইনিংসের ইতি টানেন হেনরি।

টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার পর নেদারল্যান্ডস শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। প্রথম তিন ওভারে কিউইরা কোনো রান করতেই পারেনি। পরিস্থিতি পাল্টে যায় দ্রুত। পরের ছয় ওভারের প্রত্যেকটিতে দুটি করে বাউন্ডারি আনে তারা। ১৩তম ওভারে ডেভন কনওয়ে যখন ৩২ করে সাজঘরে ফেরেন, তখন দলের সংগ্রহ ৬৭ রান।

রবীন্দ্রর সঙ্গে জুটি গড়ে সেঞ্চুরির পথে এগিয়েই যাচ্ছিলেন আরেক ওপেনার ইয়ং। কিন্ত ৭০ রানে থাকা অবস্থায় মিসটাইমিং করে ফিরে যান ক্যাচ দিয়ে। তার ৮০ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ২ ছক্কা।

ড্যারিল মিচেল-রবীন্দ্রর জুটির ব্যাটে এরপর রানের চাকা দ্রুত ঘুরতে থাকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র পেয়ে যান ফিফটি। এরপরই যদিও ডাউন দ্য লেগে থাকা বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ৫১ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৫১ রানে থামেন তিনি।

শেষ ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ড প্রবেশ করে ৩ উইকেটে ২৩৮ রান নিয়ে। বড় স্কোরের জন্য ভিত্তি প্রস্তুত, কিন্ত ওখানেই লড়াইয়ে ফেরার আশা জাগায় ডাচরা। ১৬ রানের মধ্যে তুলে নেয় ৩ উইকেট।

৪১তম ওভারের প্রথম বলেই পেসার পল ফন মিকেরেনের অফ কাটারে বোল্ড হয়ে যান মিচেল। ৪৮ রান করেন তিনি। ৪ রান করে গ্লেন ফিলিপসও একই পথ ধরেন ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হয়ে। ভুগতে থাকা মার্ক চ্যাপম্যানের ১৩ বলের ইনিংস ৫ রানের চেয়ে বড় হয়নি।

প্রতিপক্ষকে তিনশর নিচে থামানোর যে আশা নেদারল্যান্ডস করছিল, শেষদিকে সেখানে বাধে বিপত্তি। শেষ তিন ওভারে লাগামহীন হয়ে পড়ে তাদের বোলিং। আগ্রাসন চালিয়ে কিউইরা তোলে ৫০ রান।

অধিনায়ক ল্যাথাম ৬ চার ও ১ ছয়ে ৪৬ বলে ৫৩ রানে আউট হলেও স্যান্টনার ১৭ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তার উত্তাল হয়ে ওঠা ব্যাট থেকে আসে ৩ চার ও ২ ছক্কা। ডাচদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আরিয়ান দত্ত, ফন মিকেরেন ও রোলফ ফন ডার মারওয়ে।

Comments

The Daily Star  | English
health reform

Priorities for Bangladesh’s health sector

Crucial steps are needed in the health sector for lasting change.

17h ago