এস. এ. পরিবহন কার্যালয়ের ভেতরে থেমে থেমে ‘পটকা’ ফাটার শব্দ
রাজধানীর কাকরাইলে এস. এ. পরিবহনের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের পরে থেমে থেমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
আজ সোমবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কাকরাইলে এস. এ. পরিবহনের গোডাউনে আমরা আগুন লাগার সংবাদ পাই। আমরাদের প্রথম ইউনিট সোয়া ১০টায় পৌঁছায়। এরপর একে একে ১২টি ইউনিট এখানে এসে আগুন নেভাতে অংশ নেয়। সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।'
'আমরা থেমে থেমে আতশবাজি বা পটকা ফোটার শব্দ পাচ্ছি। আমরা ধারণা করছি, গোডাউনে পার্সেলের ভেতরে এ ধরনের কিছু থেকে থাকতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাতে পারবো। এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে, সম্পূর্ণ নির্বাপন করতে হয়তো আরও কিছু সময় লেগে যেতে পারে,' বলেন তিনি।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে রেজাউল বলেন, 'এস. এ. পরিবহনের প্রধান কার্যালয়ে আগুন নেভানোর নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা আমাদের চোখে পড়েনি। তদন্তের পর আমরা বলতে পারবো আগুন নেভানোর জন্য তাদের কী রকম উপকরণ ছিল।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের কাজে সমস্যা হয়েছে। কারণ বিস্ফোরণ হলে আমাদের জীবনহানির ঝুঁকি বেড়ে যায়। কাজ বিলম্বিত হয়ে যায়। কী ধরনের বিস্ফোরক ছিল বা কেমিক্যাল ছিল আমরা জানতে পারিনি। জিজ্ঞাসাবাদের পরে আমরা জানাতে পারব।
'সাধারণ মালামালের সঙ্গে বিস্ফোরক বা কেমিক্যাল রাখা একেবারেই উচিত নয় এবং কোনোভাবেই এটা গ্রহণযোগ্য নয়। যদি তারা রেখে থাকে তাহলে ঠিক করেনি। আমাদের বিস্ফোরক টিম এলে বলতে পারব,' যোগ করেন রেজাউল।
তিন তলা ভবনের নিচ তলায় আগুন সীমাবদ্ধ ছিল বলেও তিনি জানিয়েছে।
এস. এ. পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলেছে, এখানে কোনো বিস্ফোরক আসেনি। গত ৪০ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠান চলছে, এখানো কখনো আগুনের সূত্রপাত হয়নি। মধু থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। মধুর বোতল ব্লাস্ট হয়েছে, আরও অনেক কিছু থাকতে পারে। মানুষের আমানত রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের।
কর্তৃপক্ষ আরও বলে, পূজা উপলক্ষে আতশবাজি এসেছে। এগুলো কিন্তু বিস্ফোরকের আওতায় পড়ে না।
নিজস্ব অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল বলেও দাবি করেছে এস. এ. পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিস আগুন নির্বাপনের কথা জানায়।
Comments