আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

ভারতের স্পিনজালে কাবু অস্ট্রেলিয়া

দুইশ রানও করতে পারল না অস্ট্রেলিয়া।

ভারতের স্পিনজালে কাবু অস্ট্রেলিয়া

ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া

চেন্নাইয়ে স্পিন ট্রায়াল যে হবে, জানত অস্ট্রেলিয়াও। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সুবিধা তারা পেয়েছিল। ওয়ার্নার-স্মিথের ব্যাটে মন্থরগতির হলেও পিচ বিবেচনায় ভালোই শুরুও পেয়েছিল অজিরা। তবে দুজনই তাদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ভারতের স্পিনজালে আটকে এরপর কেবল হাহুতাশই করেছে অস্ট্রেলিয়া। তিন বল বাকি থাকতেই তারা অলআউট হয়েছে ১৯৯ রানের সংগ্রহ নিয়ে।

পিচে পেসারদের জন্য মুভমেন্ট ছিল না মোটেও। ওয়ার্নার-মার্শের ওপেনিং জুটি শুরুতেই আক্রমণাত্মক হতে চিন্তা করেনি একটুও। কিন্তু বুমরাহ-সিরাজের নিখুঁত বোলিংয়ে পাওয়ারপ্লের ফায়দা তুলতে পারেনি তারা। বুমরাহ এসে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই খালি হাতে ফিরিয়ে দেন মিচেল মার্শকে। হার্দিক পান্ডিয়া বোলিংয়ে আসার পর চড়াও হয় অজিরা, লেংথ মিস করে ২ ওভারেই দিয়ে দেন ২১ রান।

তবে অপর প্রান্তে প্রথমে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও এরপর কুলদীপ যাদব, দুজনে মিলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতেই রাখেন। ১৭তম ওভারে ব্যক্তিগত ৪১ রানে ওয়ার্নারকে বিদায় করে দেন কুলদীপ।

স্মিথ-লাবুশেন জুটি ভিত্তি গড়ার চেষ্টায় ধীরগতিতে খেলে ২৫তম ওভারে গিয়ে একশ রান পূর্ণ করে। এর কিছুক্ষণ পরেই সব তছনছ হয়ে যায়। স্মিথকে জাদেজা ২৭তম ওভারে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে পাঠান ব্যক্তিগত ৪৬ রানে। নিজের পরের ওভারে এসে লাবুশেনকে কট বিহাইন্ড করার পর অ্যালেক্স ক্যারিকে ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে, ১১৯ রানেই অর্ধেক উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।

ম্যাক্সওয়েল-গ্রিন মিলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যান। মাঝে ৭৩ বল পর ম্যাক্সওয়েলের সুবাদে বাউন্ডারির দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। টার্নিং পিচের সহায়তা কাজে লাগিয়ে নিখুঁত বোলিং করে যাচ্ছিলেন ভারতের স্পিনত্রয়ী। বাউন্ডারি পাওয়া দুষ্করই হয়ে পড়েছিল তাই।

শেষমেশ ৩৬তম ওভারে কুলদীপের বলে ম্যাক্সওয়েলও বোল্ড হয়ে ফিরে যান, পরের ওভারে গ্রিনও উইকেট হারান অশ্বিনের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে। ১৪০ রানেই ৭ উইকেট খুইয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়াকে লড়াকু অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পড়ে বোলারদের উপরই। কামিন্স কিছুক্ষণ চেষ্টা করে দলীয় ১৬৫ রানে ফিরে যান।

একপাশে মিচেল স্টার্ক থেকে শেষ উইকেট জুটিতে ২৮ রান যোগ করেন। অস্ট্রেলিয়া তাই ১৯৯ রানের সংগ্রহে যেতে পারে। যে সংগ্রহে কখনোই বিশ্বকাপে জিততে পারেনি অজিরা, বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২০৬ রান ডিফেন্ড করে জিততে পেরেছিল দলটি।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

4h ago