গাজায় সামরিক-বেসামরিক নাগরিকদের জিম্মি থাকার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল

গাজা সীমান্তে হামাসের হামলা ধ্বংস হওয়া একটি ইসরায়েলি ট্যাংকের ওপর ফিলিস্তিনিদের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় সামরিক ও বেসামরিক ইসরায়েলিদের জিম্মি করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, সন্ত্রাসীরা 'সেনা এবং বেসামরিক নাগরিকদের' অপহরণ করেছে।

তবে জিম্মিদের সংখ্যা সম্পর্কে ইসরায়েল এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি। হামাসের দাবি তারা ইসরায়েলের ৫৩ জনকে আটক করেছে। এদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও আছেন।

এদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। অন্যদিকে ইসরায়েলের পাল্টা বিমান হামলায় ১৯৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

আজ শনিবার সকালে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায় হামাস। হামলার পর প্রাথমিকভাবে ২২ নাগরিকের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল ইসরায়েল সরকার। পরে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশ এখন 'যুদ্ধে আছে'।

ইসরায়েলের জরুরি চিকিৎসা সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম বলছে, 'ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও শত শত মানুষ।'

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল-আরুরি দাবি করেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর 'জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের' আটক করা হয়েছে।

তিনি আল জাজিরা আরবি চ্যানেলকে বলেন, 'আমাদের হাতে যা আছে (জিম্মি) তা দিয়ে ইসরায়েলে আমাদের বন্দী থাকা সবাইকে মুক্ত করা যাবে।'

তিনি বলেন, 'আমরা দখলদার বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আটক করেছি।'

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মেজর জেনারেল পদমর্যাদার কেউ জিম্মি হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। এর বাইরে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি ইসরায়েল।

আজ শনিবার গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে একের পর এক রকেট ছোড়া হয়েছে। প্রথম ২০ মিনিটের অভিযানে পাঁচ হাজারের বেশি রকেট ছুড়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকেও সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে তেলআবিব থেকে জানানো হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Police grapple with surge in crime

Data from the Police Headquarters presents a grim picture of violent crimes, including murder, mugging, robbery, extortion, and mob violence, in the first six months of 2025.

17h ago