বগুড়ায় চাঁদা দাবিতে ৩০০ বাড়িতে চিঠি, শিশুদের অপহরণের হুমকি

বগুড়ার কাহালু উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে চাঁদা চেয়ে ঘরের দরজায় আঠা দিয়ে চিঠি সেঁটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ছবি: স্টার

বগুড়া কাহালুতে চাঁদা দাবি করে প্রায় ৩০০ বাড়ির দরজায় চিঠি লাগিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। চাঁদা না দিলে শিশুদের অপহরণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

গত রাতে উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দরজায় চিঠি দেখতে পান তারা। চাঁদা দাবি করায় গ্রামের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেক অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে যেতে দেননি।

স্থানীয়রা জানান, গ্রামটিতে প্রায় এক হাজার পরিবারের বসবাস। পাঁচ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশু আছে প্রায় ৪০০। আজ বিকেলে তারা কেউ মাঠে খেলতে যায়নি।

চাঁদা দাবি করে দরজায় সেঁটে দেওয়া চিঠি। ছবি: স্টার

মুরইল ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন, চিঠিতে প্রতি পরিবারের কাছে ২০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাওয়া হয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবরের মধ্যে চাঁদার টাকা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে রেখে আসতে বলা হয়েছে। চাঁদা না দিলে শিশুদের অপহরণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে প্রেরকের নামের জায়গায় লেখা হয়েছে 'শ্যাডো'।

মোন্না পাড়ার সামছুল শেখ (৫৮) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষ্ণুপুর গ্রামের চার-পাঁচটি পাড়ায় প্রতিটি বাড়িতে চাঁদা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুই হাজার টাকা দাবি করে আমার বাড়িতেও চিঠি দিয়েছে। আমার একটা বাচ্চা আছে। আমরা ভয়ে আছি।'

মিস্ত্রিপাড়ার আজিজুল হক বাচ্চু বলেন, আমি আসবাবের ব্যবসা করি। আমার বাড়িতে পাঁচ হাজার টাকা চেয়ে দরজায় আঠা দিয়ে চিঠি সেঁটে দেওয়া হয়েছে। আমার তিন সন্তান। দুজন স্কুলে যায়। আজকে আমি তাদেরকে স্কুলে নিয়ে গেছি। ছেলেরা ভয়ে মাঠে খেলতে যাচ্ছে না।'

ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'বাইরে থেকে কেউ এসে এ কাজ করার কথা নয়। আতঙ্ক তৈরি করার জন্য স্থানীয় কিছু যুবক এটা করতে পারে।'

এই বিষয়ে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তিনি বলেন, 'এই মিয়া আপনাকে এত কিছু বলতে হবে কেন? আপনি ঘটনাস্থলে এসে তথ্য নেন।'

বিষয়টি জানালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আব্দুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ওসিকে সতর্ক করা হবে। বিষ্ণুপুর গ্রামে আমি নিজে গিয়েছি। কারা এই কাজ করেছে জানার চেষ্টা করছি। যারাই করুক তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Have patience for election

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday said the government would issue a roadmap to the election as soon decisions on electoral reforms are made.

6h ago