বেলুচিস্তানে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯, ‘র’কে দায়ী করল পাকিস্তান

মদিনা মসজিদের সামনের এই জায়গাটিতেই আত্মঘাতি বোমা হামলা চালায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। হামলার পর তোলা ছবি: এএফপি
মদিনা মসজিদের সামনের এই জায়গাটিতেই আত্মঘাতি বোমা হামলা চালায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। হামলার পর তোলা ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের মাসতুং জেলার এক মসজিদের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ হয়েছে। পাকিস্তান সরকার এই ঘটনার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার অঙ্গীকার করেছে ও এতে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে।

গতকাল শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

শুক্রবার আলফালাহ সড়কের মদিনা মসজিদের কাছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে মুসুল্লিরা জমায়েত হন। সেসময় এক অজ্ঞাত ব্যক্তি পুলিশের গাড়ির কাছে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা।

দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা অভিযোগ করে আসছেন, পাকিস্তানে জঙ্গি সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করে ভারত। তবে ভারত কখনোই এই দাবি মেনে নেয়নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বাগতি বলেন, 'মাসতুং এর আত্মঘাতী বোমা হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নাগরিক, সামরিক ও অন্যান্য সংস্থাগুলো একযোগে আঘাত হানবে।'

'এই আত্মঘাতী হামলার সঙ্গে ভারতের ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) জড়িত', যোগ করেন তিনি।

তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ বা বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।

বেলুচিস্তানে বোমা হামলায় আহত এক ব্যক্তিকে অ্যামবুলেন্সে ওঠানো হচ্ছে। ছবি: এএফপি
বেলুচিস্তানে বোমা হামলায় আহত এক ব্যক্তিকে অ্যামবুলেন্সে ওঠানো হচ্ছে। ছবি: এএফপি

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সরকারের এক মুখপাত্রের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পায়নি রয়টার্স।

বেলুচিস্তানের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র ওয়াসিম বেগ জানান, হাসপাতালে আরও ৭ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। যার ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। তিনি আরও জানান, এখনও অনেক রোগী গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন এবং কারো কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার উত্তরের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অপর এক মসজিদে হামলার ঘটনায় অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা তদন্ত শুরু করেছে এবং আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্তের উদ্যোগ নিয়েছে। 

কোনো সংগঠন এখনও এই দুই হামলার দায় নেয়নি।

পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) নামের সংগঠনটি ২০০৭ সালে কার্যক্রম শুরুর পর বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলার দায় নিয়েছে। তবে শুক্রবারের হামলার দায় নিতে অস্বীকার করে এই সংগঠন।

Comments