সামনে চ্যালেঞ্জ, কঠিন চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

দলের নেতাকর্মী উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'বাস্তবতার সঙ্গে সংগতি রেখে চলতে হবে, সামনে চ্যালেঞ্জ, কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। ক্ষমতায় থাকতে হবে।'

আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনী ইশতেহারে ঢাউস পরিকল্পনা নিয়ে বিশাল পুস্তক রচনা করার কোনো প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে কাদের বলেন, 'ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সবখানে আছে। সারা পৃথিবী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভুগছে। আমাদের এখানে কখন বৃষ্টি হয়, কোথায় বৃষ্টি হয়—আবার দেখি রোদে ঝলমল। কোনো ঠিক ঠিকানা নেই, পৃথিবী পাল্টে গেছে। জীবনের চালচিত্র বদলে গেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'জো বাইডেন বলেছেন, আমি আবারও ক্ষমতায় থাকতে চাই। আবারও নির্বাচনে দাঁড়াতে চাই। কারণ ট্রাম্প আবার যদি ক্ষমতায় আসে আমেরিকার গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। সে জন্য আমার বয়স কোনো ব্যাপার না, আমি আবার ক্ষমতায় থাকতে চাই, আমেরিকার গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। আমিও আজকে একই কথা বলি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে,' বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ফখরুল তো কাল হুমকি দিয়ে বলে দিয়েছে আর মাত্র কয়টা দিন। মির্জা আব্বাস বলে, আমি আজকে চাঁদ রাত দেখতে পাচ্ছি। ঝিনাইদহে কিছু লোক দেখেছে। কিছু লোক দেখেই চাঁদ রাত দেখে। তৃণমূলের ঠেলায় এমনি বাঁচে না, আবার এসব স্বপ্ন দেখে। আমাদের তাড়িয়ে দেবে, আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করেন। আমি গতকাল টঙ্গীতে বলেছি, আমরা এ অক্টোবরেও আছি, আগামী অক্টোবরেও আছি। ইনশাল্লাহ থাকব। কী কারণে ক্ষমতা আমরা ছেড়ে দেবো? কী কারণে তত্ত্বাবধায়ক আবার আমরা জীবিত করব? শেখ হাসিনার মতো যোগ্য এবং সমসাময়িককালে সুযোগ্য একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী সংকটে শক্ত হাতে যিনি হাল ধরে আছেন তাকে কেন সরে যেতে হবে? বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন। জনগণ তাকে চায়, জনগণ তার বিকল্প কাউকে ভাবে না।'

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, 'নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা ছোট নাকি বড় হবে নির্ধারণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।'

তিনি বলেন, 'আমাদের সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু সামনের নির্বাচন আমরা সুষ্ঠু করব, অবাধ করব। এর বাইরে কোনো চিন্তা আমরা এ মুহূর্তে করছি না। আর আমরা যা করব, পরিষ্কার কথা; সংবিধান অনুযায়ী। দুনিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যে রকম হয়। কে এলো, কে এলো না এটা আমাদের বিষয় না।'

নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগের বিষয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আমরা নির্বাচন করব, বাধা দেবো না। বাধা যারা দেবে তারাই তো নিষেধাজ্ঞা পাবে।

'একেক দিন একেক হুমকি আসে, আরে কী আজব কারবার! সারা দুনিয়াটা উল্টেপাল্টে গেল, ইউক্রেন যুদ্ধ কোথায় নিয়ে গেল! পৃথিবীটা তোলপাড় হচ্ছে। সুদান দুই ভাগ হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনে প্রতিদিন নারী-শিশুর রক্তস্রোত। মিয়ানমারে কী হচ্ছে? রোহিঙ্গাদের চাপিয়ে দিলেন। মানবতার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করলেন কিন্তু এখন যে আমাদের সাহায্য কমে যাচ্ছে। এ রোহিঙ্গাদের আমরা খাওয়াব কীভাবে? আমাদের নিজেদেরও তো সংকট। আমরা আমাদের এসব নিয়ে আজকে ভাবছি,' বলেন কাদের।

আমেরিকার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমাদের নির্বাচন নিয়ে এত মাথা ঘামানো, পারেন না দুষ্ট ছেলে ইসরায়েলকে থামাতে! এত কিছু করে। নিজের দেশে আইন মানে না, এখন বিচার বিভাগের ওপর হাত দিয়েছে। বাইডেন সাহেব বারবার বলেন, নেতানিয়াহু পাত্তা দেন? ওগুলো ঠিক করেন আগে। বড় বড় সংকট ঠিক করেন, যুদ্ধ থামান। আমরা আছি, আমরা অত বড় হতে চাই না। আমাদের পরাশক্তি হওয়ার কোনো খায়েশ নেই। আমরা আমাদের গণতন্ত্রটাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

13h ago