জামালপুরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

জামালপুরের বকশিগঞ্জে দৈনিক 'দেশের কণ্ঠ' পত্রিকার সাংবাদিক এম এ সালাম মাহমুদকে হত্যার হুমকির অভিযোগে বকশিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্ববায়ক কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে সাংবাদিক সালাম বকশিগঞ্জ থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেন।

গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর রোববার সাংবাদিক এম এ সালাম মাহমুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিক এম এ সালাম।

সালাম মাহমুদ জানান, 'সম্প্রতিকালে বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি না নিয়ে যুবলীগের কর্মী সংগ্রহ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেই। এরপর ওই যুবলীগ নেতা পশাল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে দুবার কল করেন। আমি রিসিভ করতে পারেনি।'

তিনি আরও বলেন, 'পরে তাকে কলা করা হলে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, অনেক বড় সাংবাদিক হয়ে গেছেন। এই জন্যই তো মানুষ আপনাদের নাদিমের মতো রাস্তায় পিটিয়ে মারে। এখনো সময় আছে ভালো হয়ে যান, নইলে নাদিমের মতো মরতে হবে।'

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন পলাশের সঙ্গে। হত্যার হুমকি কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'সাংবাদিক সালামের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু আমি তাকে কোনো ধরনের হুমকি দিইনি। সে আমার বন্ধুর মতো।'
 
তিনি আরও বলেন, 'উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ব্যস্ত ছিলেন, পরে আমরা সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি নিয়েই কর্মী সংগ্রহ সভা করেছি। অথচ তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনুমতি না নিয়ে করেছি। তাই তাকে ফোনে বলেছি, সত্য নিউজ করেন। তাকে কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি।'

এ বিষয়ে বকশিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহীন আল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাংবাদিক নাদিম হত্যার পরপরই আরেক সাংবাদিকে হত্যার হুমকি আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। বকশিগঞ্জে আর কোনো সাংবাদিক হত্যা হতে দেব না।'

জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, সাংবাদিককে তার কাজের জন্য হুমকি কোনোভাবেই কাম্য নয়। হুমকিদাতাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
 
এ বিষয়ে বকশিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কিছুক্ষণ আগে অভিযোগ পেয়েছি এবং আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি।'

 

Comments