দিনাজপুরে বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ ঝড়, উড়ে গেছে শতাধিক ঘরের চাল

ঝড়ো হাওয়ায় বিরামপুর উপজেলায় আশ্রয়ণের চারটি ঘরের টিনের ছাউনিও উড়ে গেছে। ছবি: স্টার

ভারী বর্ষণের মধ্যেই হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ায় দিনাজপুরের তিন উপজেলায় শতাধিক ঘর-বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। এতে দুর্বিষহ অবস্থায় পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঝড়ো হাওয়ায় বিরামপুর উপজেলায় আশ্রয়ণের চারটি ঘরের টিনের ছাউনিও উড়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, বিরামপুরে আশ্রয়ণের চার ঘরসহ ২৮টি, নবাবগঞ্জের বিনোদনগর ও গোলাপগঞ্জ এলাকার শতাধিক এবং হাকিমপুরের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার পাঁচটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সরেজমিনে বিরামপুরের দিওড় ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণের চারটি ঘরের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। কিছু ঘরের সামনের বারান্দার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসিন্দারা উড়ে যাওয়া টিন কুড়িয়ে জড়ো করছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত এক ঘরের বাসিন্দা মমতা বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। দুপুরে ঘরে বসে ছিলাম। বৃষ্টির মধ্যেই হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। এতে ঘরের ছাউনির টিনগুলো উড়ে যায়। বারান্দার টিনগুলোও উড়ে গিয়ে পাশের ঘরের ওপর পড়ে। একপর্যায়ে আমি চকির নিচে আশ্রয় নেই।'

ক্ষতিগ্রস্ত আরেক ঘরের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, 'আমরা এমনিতেই অসহায়। এখন আর কিছু থাকলো না। রাতে খাব কী, কোথায় ঘুমাব, জানি না। শুনেছি সরকার থেকে নাকি সহায়তা দেওয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই পাইনি।'

দুপুরের এই আকস্মিক ঝড়ো হাওয়ায় নবাবগঞ্জের দুটি ইউনিয়নে এবং হাকিমপুরের খট্টা মাধবপাড়া ইউনিয়নে বেশ কিছু ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে। 

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে ঝড়ো হাওয়ায় বিরামপুর উপজেলায় আশ্রয়ণের চারটি ঘরসহ বেশ কিছু ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও, কিছু এলাকায় গাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ি পরিদর্শন করে শুকনো খাবার, টিন এবং নগদ অর্থ দেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Adani

Adani, under bribery scrutiny, pressed by Bangladesh to reopen power deal

Bangladesh's interim govt has accused Adani Power of breaching a multi-billion-dollar agreement by withholding tax benefits

2h ago